AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ex-Gratia On Covid Death: কোভিডে মৃত্যু, ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ কোন পথে? ১১ দফা নির্দেশিকা শীর্ষ আদালতের

Ex-Gratia On Covid Death: অভিযোগ থাকলে কোন পথে তা নিরসন হবে, এবং কোন মৃত্যুর ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে, তা জানিয়েও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

Ex-Gratia On Covid Death: কোভিডে মৃত্যু, ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ কোন পথে? ১১ দফা নির্দেশিকা শীর্ষ আদালতের
বম্বে হাইকোর্টের বিতর্কিত রায় বাতিল করল শীর্ষ আদালত। ফাইল চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Oct 04, 2021 | 10:56 PM
Share

নয়া দিল্লি: গত দেড় বছরে কোভিডে (Covid Death) যাদের মৃত্যু হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। পরিবার পিছু ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। কোন পথে সেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে তা নির্দিষ্ট করতে সোমবার ১১ দফা নির্দেশিকা জারি করল শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে অভিযোগ থাকলে কোন পথে তা নিরসন হবে, এবং কোন মৃত্যুর ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে, তা জানিয়েও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

কোভিডে মৃত্যু, পরিবারকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশিকা

১. কোভিডে যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, তাঁর নিকটস্থ পরিবারের সদস্যকে ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। যা বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের আওতায় কেন্দ্রীয় সরকার/রাজ্য সরকার/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দেবে।

২. রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে দেওয়া হবে এই ক্ষতিপূরণের টাকা।

৩. জেলার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর বা জেলা প্রশাসন এই ক্ষতিপূরণ বণ্টনের কাজ করবে।

৪. করোনায় মৃত্যু হওয়া ফলে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার বিষয়টি প্রচার করতে হবে। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার খবর সংবাদপত্র এবং বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রচার করতে হবে। বিভিন্ন সরকারি দফতরেও ক্ষতিপূরণ পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা থাকবে।

৫. ‘কোভিডের কারণেই মৃত্যু হয়েছে।’ ডেথ সার্টিফিকেটে এই কথাটির উল্লেখ-সহ জেলা প্রশাসনে ক্ষতিপূরণের আবেদন জানানোর ৩০ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণের টাকা মৃত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠের হাতে তুলে দিতে হবে।

৬. যদি ডেথ সার্টিফিকেটে কোভিডের কারণে মৃত্যুর কথা না-ও লেখা থাকে, কিন্তু কোভিড হওয়ার কারণে কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হয়, তা হলেও ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

৭. ‘কোভিডের কারণেই মৃত্যু হয়েছে।’ এই কথা যদি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ না লেখে, তা হলেও কোনও রাজ্য সরকার ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করতে পারবে না।

অলঙ্ককরণ-অভীক দেবনাথ

অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য পৃথক কমিটি

৮. ডেথ সার্টিফিকেট সংক্রান্ত যদি কোনও অভিযোগ থেকে থাকে, তবে সেই সম্পর্কে অতিরিক্ত জেলাশাসক, মুখ্য জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক, অতিরিক্ত জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক বা কোনও মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ বা মেডিসিন বিভাগের প্রধানের দ্বারস্থ হতে পারবেন মৃতের পরিবারের সদস্য। তিনি সবটা খতিয়ে দেখে ঠিক করবেন কোভিডের কারণেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল কি না।

৯. আজ, সোমবার থেকে পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যেক রাজ্যকে এই সংক্রান্ত কমিটি গঠন করতে হবে। কোথায় গেলে অভিযোগ জানানোর সেই কমিটির সন্ধান পাওয়া যাবে সেই ঠিকানাও সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করে রাজ্যকে জানাতে হবে। স্বাস্থ্য বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্তাদের নিয়ে এই কমিটি গঠন করতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত।

১০. যদি ক্ষতিপূরণের দাবি না মানা হয়, তবে কেন সেটা মানা হচ্ছে না, এবং কেন ওই দাবিদারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, তার কারণ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে ওই কমিটিকে।

১১. যেমনটা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, কোভিড-১৯ এর কারণে ভবিষ্যতেও যে মানুষের মৃত্যু হবে, তাঁদের পরিবারকেও একই ভাবে ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্য চালিয়ে যেতে হবে।

আরও পড়ুন: Covid Death: ডেট সার্টিফিকেটে কোভিডের উল্লেখ না থাকলেও দিতে হবে ক্ষতিপূরণ: সুপ্রিম কোর্ট