Kenya Lawyer: একের পর এক মামলায় জয়, ‘দুঁদে’ আইনজীবীর শিক্ষাগত যোগ্যতা খুঁজতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ

Kenya: কেনিয়ার যুবকের এই কাণ্ড দেখে হতবাক নেটিজেনরাও। তাঁদের কারও মতে, আমাদের সকলের মধ্যেই সুপ্ত আইনজীবী থাকে। আমরা সকলে আইন পাশ করার সুযোগ পাই না বা যুক্তি-তর্ক জাহির করার সুযোগ পাই না। এই যুবক সুযোগ পেতেই সেটি করে দেখিয়েছে।

Kenya Lawyer: একের পর এক মামলায় জয়, 'দুঁদে' আইনজীবীর শিক্ষাগত যোগ্যতা খুঁজতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ
কেনিয়ার ভুয়ো আইনজীবী ব্রায়ান মুয়েন্ডা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 28, 2023 | 11:40 PM

নাইরোবি: দুঁদে আইনজীবী (Lawyer) হিসাবেই সকলে তাঁকে চেনে। নিম্ন আদালত থেকে হাইকোর্ট পর্যন্ত তাঁর সাফল্য নজরকাড়া। ২৬টি মামলা লড়েছেন এবং প্রতিটিতেই জয় পেয়েছেন। কিন্তু, তাঁর সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ল বিড়াল! ওই দুঁদে আইনজীবীর আদতে কোনও আইন পাশের ডিগ্রি নেই। মিথ্যা ডিগ্রির কথা বলেই তিনি নিম্ন আদালত থেকে হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করেছেন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই চোখ কপালে ওঠার জোগাড় সকলের! ঘটনাটি অবশ্য এদেশের নয়, কেনিয়ার (Kenya)। তবে একাজ করে ওই যুবক রেহাই পাননি। তাঁকে গ্রেফতার করেছে কেনিয়া পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ভুয়ো আইনজীবীর নাম ব্রায়ান মুয়েন্ডা। কেনিয়া হাইকোর্টের আইনজীবী হিসাবেই পরিচয় দিতেন ব্রায়ান। শুধু পরিচয় দেওয়া নয়, নিম্ন আদালত থেকে হাইকোর্টে মামলাও লড়েছেন এবং জিতেছেন। কিন্তু, তাঁর আইনজীবীর কোনও ডিগ্রি নেই, কেনিয়ার ল’ সোসাইটি থেকে নাইরোবি শাখার সদস্যও নন তিনি। অন্য এক আইনজীবীর নাম ভাঙিয়ে তিনি প্র্যাকটিস করতেন। প্রতারণার অভিযোগে শেষ পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ভুয়ো মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধি, পুলিশ থেকে ভুয়ো চিকিৎসক ধরা পড়ার ঘটনাও প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু, ভুয়ো আইনজীবীর কথা বোধহয় শোনা যায়নি। এবার কেনিয়ায় সেটাও প্রকাশ্যে এল। ২৮ বছর বয়সি ব্রায়ান মুয়েন্ডা আদতে আইটি সেক্টরে কর্মরত ছিলেন। সেখানে সমস্যা হওয়ায় তিনি কাজ ছেড়ে একেবারে আইনজীবীর পেশায় আসেন। বার সদস্য ব্রায়ান মুয়েন্ডা এনজ্যাগির নাম ভাঙিয়েই তিনি প্র্যাকটিস শুরু করেন। কিন্তু, তাঁর অভাবনীয় দক্ষতায় বিষয়টি কেউ বুঝতে পারেননি। এমনকি হাইকোর্টের বিচারপতি পর্যন্ত বুঝতে পারেননি, ব্রায়ান আদতে আইনজীবী নন। ফলে অবলীলায় তিনি নিজেকে আইনজীবী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেন। সম্প্রতি আইনজীবীদের নথিপথে নিজের নামের স্বপক্ষে একটি ভুল ই-মেল দিয়ে সাইন-ইনের চেষ্টা করতেই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। এরপর আইনজীবীদের অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

ব্রায়ানের গ্রেফতারির ঘটনাটি বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। কেনিয়ার যুবকের এই কাণ্ড দেখে হতবাক নেটিজেনরাও। তাঁদের কারও মতে, আমাদের সকলের মধ্যেই সুপ্ত আইনজীবী থাকে। আমরা সকলে আইন পাশ করার সুযোগ পাই না বা যুক্তি-তর্ক জাহির করার সুযোগ পাই না। এই যুবক সুযোগ পেতেই সেটি করে দেখিয়েছে। তবে নেটিজেনরা যা-ই বলুন, যে ২৬টি মামলা ব্রায়ান জিতেছেন, সেগুলির কী হবে তা ভেবে পাচ্ছেন না ব্রায়ানের মক্কেলরা। যদিও যুক্তি-প্রমাণের ভিত্তিতেই সেই মামলাগুলির রায় বহাল রাখার আবেদন জানিয়েছেন ব্রায়ান নিজে।