কাশ্মীর হামলার ক’দিন আগেই পাকিস্তানের সেনা প্রধান ইঙ্গিতপূর্ণ কথাটা বলে দিয়েছিল, আর আজ মিনমিনে গলায় কী বলছে পড়ুন
J&K Terror Attack: পহেলগাঁওয়ের বৈসরণে জঙ্গি হামলার প্রতিক্রিয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পড়শি দেশ পাকিস্তান। পাক বিদেশমন্ত্রী বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছেন, "জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় হামলায় পর্যটকদের মৃত্যুতে আমরা উদ্বিগ্ন।"

শ্রীনগর: দিন কয়েক আগেই কাশ্মীরকে পাকিস্তানের গলার শিরা বলেছিল পাক সেনা প্রধান জেনারেল আসিম মুনির। আর তারপরই পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হামলা। বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদেরই মারল জঙ্গিরা। ইতিমধ্যেই হামলাকারী চার জঙ্গির ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। এদের মধ্যে দুইজন কাশ্মীরেরই। বাকি দুইজন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দা। হামলার পিছনে যে পাকিস্তানের মদত রয়েছে, তা ধীরে ধীরে আরও স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতেই মুখ খুলল পাকিস্তান।
পহেলগাঁওয়ের বৈসরণে জঙ্গি হামলার প্রতিক্রিয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পড়শি দেশ পাকিস্তান। পাক বিদেশমন্ত্রী বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছেন, “জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় হামলায় পর্যটকদের মৃত্যুতে আমরা উদ্বিগ্ন। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা রইল এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।”
পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠনেরই শাখা সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। তারাই এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। পাকিস্তান এই জঙ্গি সংগঠন নিয়ে উচ্চবাচ্যই করেনি। তবে দিন কয়েক আগেই পাক সেনা প্রধান জেনারেল আসিম মুনির বলেছিলেন, “আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট। কাশ্মীর আমাদের কণ্ঠের শিরা ছিল, থাকবে। আমরা ভুলব না। আমাদের কাশ্মীরী ভাইদের লড়াই করতে ছেড়ে দেব না।”
পাক সেনা প্রধানের এই মন্তব্য, তারপরই এই জঙ্গি হামলা, গোটা বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখছে না নয়া দিল্লি। সন্ত্রাসবাদের জবাবে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। বাতিল করতে পারে পাক নাগরিকদের ভিসা, এমনকী বাণিজ্যও বন্ধ হতে পারে, সূত্র মারফত এমনটাই জানা যাচ্ছে।

