Donald Trump: যৌন হেনস্থা মামলায় কড়া শাস্তির মুখে ডোনাল্ড ট্রাম্প, দিতে হবে কোটি টাকা জরিমানা
Physical Assault Case: গোটা মামলার শুনানিতে একবারও হাজিরা দেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। আইনজীবীরাও তাঁর স্বপক্ষে বয়ান দেওয়ার জন্য কোনও সাক্ষীকে আদালতে পেশ করেননি বলেই জানা গিয়েছে।
ওয়াশিংটন: মুখ পুড়ল ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump)। যৌন হেনস্থা (Physical Assault) ও মানহানির (Defamation) মামলায় প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দোষী সাব্যস্ত করল মার্কিন আদালত। সম্প্রতিই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কয়েক দশক আগে ঘটা ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন একটি মার্কিন ম্যাগাজিনের লেখিকা ই জিন ক্যারল (E Jean Carol)। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শুনানি শুরু হয়। নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করলেও, মঙ্গলবার মার্কিন আদালত সেই মামলায় প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে দোষী সাব্যস্ত করে। আদালতের তরফে ট্রাম্পকে ৫ মিলিয়ন ডলার বা ৫০ লক্ষ ডলারের জরিমানা করা হয়েছে। এই জরিমানা জিন ক্যারলকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, জিন ক্যারল প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনলেও, মঙ্গলবার তিন ঘণ্টার শুনানির পর নয়জন জুরি মিলিতভাবে ওই ধর্ষণের অভিযোগ খারিজ করে দেন। তাঁর বদলে যৌন হেনস্থার অভিযোগে ট্রাম্পকে শাস্তি হিসাবে জরিমানা করা হয়। গোটা মামলার শুনানিতে একবারও হাজিরা দেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। আইনজীবীরাও তাঁর স্বপক্ষে বয়ান দেওয়ার জন্য কোনও সাক্ষীকে আদালতে পেশ করেননি বলেই জানা গিয়েছে। কেবলমাত্র গত অক্টোবর মাসে ট্রাম্পের একটি ভিডিয়ো বার্তা, যেখানে অভিযোগকারী জিন ক্যারলকে তিনি মিথ্যাবাদী ও অসুস্থ মানসিকতার ব্যক্তি বলে উল্লেখ করেছিলেন, সেই ভিডিয়োটি আদালতে পেশ করা হয়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতিই ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এক পর্ন তারকার সঙ্গে সম্পর্ক ও তাঁর মুখ বন্ধ রাখার জন্য ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই মামলা দায়ের হওয়ার পরই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একের পর এক পুরনো যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠতে থাকে। গত বছরই জিন ক্যারল নামে ওই লেখিকা প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের নামে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। তিনি দাবি করেন, ১৯৯৬ সালে ট্রাম্প তাঁকে ম্যানহ্যাটনের ফিফথ অ্যাভিনিউয়ের একটি অভিজাত পণ্যের দোকানের ট্রায়াল রুমে ধর্ষণ করেন।