Golden Dome: চিন-রাশিয়ার সর্পদংশন থেকে বাঁচতে ‘সোনার ঘর’ বানাচ্ছেন ‘বিশ্বকর্মা’ ট্রাম্প!
Golden Dome: চিন-রাশিয়ার মিসাইল হামলা আটকানোর ক্ষমতা নাকি এতদিন আমেরিকার ছিল না। তাই তাঁকেই যাবতীয় দায়িত্ব নিতে হয়েছে। তিনি ক্ষমতায় এসেই এই নতুন মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমের পরিকল্পনা করেছেন, ওভাল অফিসে বসে বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বিশ্বের সর্বাধুনিক মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম। পোশাকি নাম Golden Dome defence system, বানাচ্ছে আমেরিকা। নিজের মেয়াদ ফুরানোর আগেই তৈরি হয়ে যাবে, হোয়াইট হাউসে বসে জানিয়ে দিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু কেন আমেরিকার দরকার পড়ল এত আধুনিক, এত দামি ডিফেন্স সিস্টেমের? সে কথাও খোলসা করলেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
চিন বা রাশিয়ার মিসাইল হামলার হাত থেকে বাঁচাতে, এমনকী ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা হলেও যাতে আমেরিকা সুরক্ষিত থাকে, সেই জন্যই এই ডিফেন্স সিস্টেম বানাচ্ছেন, জানিয়েছেন ট্রাম্প। এটি একটি নেক্সট জেনারেশন ডিফেন্স সিস্টেম। গোল্ডেন ডোম তৈরির জন্য আনুমানিক খরচ ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ধরা হলেও কাজ শেষ করতে খরচ ১৭৫ বিলিয়ন ডলার পেরিয়ে যাবে বলেই অনুমান মার্কিন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের। প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছেন স্পেস ফোর্সের ভাইস চিফ অফ স্পেস অপারেশন জেনারেল গাটলেন।
ট্রাম্পের মতে, এখন মার্কিন সেনার ভাঁড়ারে যে ডিফেন্স সিস্টেম রয়েছে, সেগুলি ততটা আধুনিক নয়। গত জানুয়ারিতে ওভাল অফিসে বসতেই ট্রাম্প হুকুম দেন, এমন এক মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম বানাতে হবে যা আমেরিকার দিকে ধেয়ে আসা সবচেয়ে ভয়াবহ হামলাকেও আটকে দিতে পারবে। এমন অস্ত্র চাই, যে মাটি হোক বা আকাশ, এমনকী মহাকাশ থেকেও ধেয়ে আসা হামলাকেও প্রতিহত করতে পারবে। ট্রাম্পের বক্তব্য, নয়া এই ডিফেন্স সিস্টেম বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত এমনকী মহাকাশ থেকে ব্যালিস্টিক মিসাইল এলেও আটকে দিতে পারবে।

ট্রাম্প এই নয়া ডিফেন্স সিস্টেমের নামকরণ করেছেন ইজরায়েলের ‘আয়রন ডোম’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে। ২০১১ থেকে রকেট ও মিসাইল হামলা থেকে ইজরায়েলের ভূখণ্ডকে রক্ষা করে চলেছে আয়রন ডোম। যদিও মার্কিন ‘গোল্ডেন ডোম’ আরও উন্নত ও আধুনিক। শব্দের চেয়েও জোরে ছোটে যে হাইপারসনিক মিসাইল, সে পৃথিবীর বাইরে থেকে এলেও ১০০ শতাংশ সেগুলিকে আকাশেই নষ্ট করে দেবে golden dome, দাবি ট্রাম্পের। ওভাল অফিসে বসে ট্রাম্পের যুক্তি, চিন বা রাশিয়ার কাছে যে সব ‘সফিস্টিকেড’ মিসাইল রয়েছে সেগুলি রুখে দেওয়ার মতো ক্ষমতা এতদিন নাকি পেন্টাগনের ছিল না।

