‘শীঘ্রই পদত্যাগ না করলে হঠিয়ে দেওয়া হবে ট্রাম্পকে’

সুমন মহাপাত্র |

Jan 09, 2021 | 4:37 PM

একই সুর শোনা গিয়েছে আরেক ডেমোক্র্যাট অনাবাসী ভারতীয় প্রমীলা জয়পালের মুখেও। তাঁরও সাফ কথা, "এখনই সরিয়ে দেওয়া উচিত।"

শীঘ্রই পদত্যাগ না করলে হঠিয়ে দেওয়া হবে ট্রাম্পকে
ফাইল চিত্র

Follow Us

ওয়াশিংটন: বিদায়কালে যেন বিপদ ঘনিয়ে আসছে ট্রাম্পের (Donald Trump)। পরাজয়ের পর থেকেই মসনদ নড়বড়ে হয়েছিল। কিন্তু শেষ ধাক্বাটা লাগল ৬ জানুয়ারি। হাজারো ট্রাম্প সমর্থক চড়াও হলেন মার্কিন কংগ্রেসে। লন্ডভন্ড হল গোটা ক্যাপিটল ভবন। তারপর থেকেই ট্রাম্পের জন্য ক্রমাগত প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তাঁকে মেয়াদ শেষের আগে হটিয়ে দেওয়ার দাবি উঠেছে দেশ-বিদেশ সর্বত্র থেকে। এবার হুঙ্কার ছাড়লেন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিও।

ন্যান্সি পেলোসি সাফ জানালেন, প্রেসিডেন্ট যদি শীঘ্রই পদত্যাগ না করেন, তাহলে তাঁকে সংবিধানের ২৫-তম সংশোধন প্রয়োগ করে ‘ইমপিচড’ অর্থাৎ সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য তারা প্রস্তুত। একই সুর শোনা গিয়েছে আরেক ডেমোক্র্যাট অনাবাসী ভারতীয় প্রমীলা জয়পালের মুখেও। তাঁরও সাফ কথা, “এখনই সরিয়ে দেওয়া উচিত।”

মার্কিন ইতিহাসে ক্যাপিটলে এইরকম হামলা হয়েছিল ২০৬ বছর আগে। তখন ব্রিটিশ বাহিনী হামলা করেছিল। তবে ৬ জানুয়ারি আমেরিকাবাসীরাই হামলা করেছে। আর বিশ্লেষকদের মতে, ক্রমাগত ট্রাম্পের উস্কানিই এই হামলার কারণ। তাই ডেমোক্র্যাটরা মনে করছেন, যতদিন ট্রাম্প ক্ষমতায় আছেন ততদিন নিরাপত্তা নেই আমেরিকায়। তাই তাঁরা ১১ দিন আগেই সরিয়ে দিতে চাইছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।

এর আগেও ট্রাম্পকে সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব এনেছিলেন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। কিন্তু হাউসে প্রস্তাব পাস হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকার জন্য সেনেটে আটকে গিয়েছিল সেই প্রস্তাব। কিন্তু এবার মার্কিন কংগ্রেসের দুই কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে ডেমোক্র্যাটদের। আর বেশ কয়েকজন রিপাবলিকানও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মাতা নাড়ছেন।

আরও পড়ুন: ‘ঘরওয়াপসি’ করোনার? সংক্রমণের জেরে চিনে বিচ্ছিন্ন দুই শহর

এমতাবস্থায় ট্রাম্পকে হঠিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। তবে যেহেতু কয়েক দিনের মধ্যেই ট্রাম্পের মেয়াদ শেষ হচ্ছে, তাই এমনও হতে পারে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট যখন সম্পন্ন হবে, তখন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু যদি ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, তাহলে ভবিষ্যতে কোনও সরকারি পদে বসতে পারবেন না ট্রাম্প। সেক্ষেত্রে জলাঞ্জলি হবে তাঁর ২০২৪-এ ভোটে দাঁড়ানোর সব সম্ভাবনা।

Next Article