‘ঘরওয়াপসি’ করোনার? সংক্রমণের জেরে চিনে বিচ্ছিন্ন দুই শহর
তড়িঘড়ি দুই শহরের মানুষদের অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোতে বারণ করেছে প্রশাসন।
বেজিং: চিন থেকে শুরু হয়েছিল করোনা (COVID) সংক্রমণ। তবে কড়া লকডাউন ও বিধি নিষেধ মেনে করোনা রুখতে সক্ষম হয়েছিল ড্রাগন। সারা বিশ্বে যখন হু হু করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছিল তখন ক্রমেই নীচে নামছিল চিনের করোনা রেখাচিত্র। কিন্তু এখন যখন সারা বিশ্বে কিছুটা হলেও নিম্নমুখী সংক্রমণ, তখন ফের সংক্রমণের গতি বাড়ল চিনে। ইতিমধ্যেই সংক্রমণে রাশ টানতে দক্ষিণ বেজিংয়ের দু’টি শহরকে বিচ্ছিন্ন করেছে জিনপিং প্রশাসন।
গত সপ্তাহেই চিনের হেবেই প্রদেশে ১২৭ জন উপসর্গ নিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে অ্যাসিম্পটমেটিক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৮৩ জন। হেবেই প্রদেশের শিজাজুয়াং শহরে লক্ষাধিক মানুষের বাস। সেখানে একাধিক ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের হদিশ মিলেছে। পাশের শহর জিংটাইতেও একাধিক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তারপরই তড়িঘড়ি দুই শহরের মানুষদের অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোতে বারণ করেছে প্রশাসন।
কে কখন বেরোচ্ছেন, সবকিছুর কড়া নজরদারি চালাচ্ছেন প্রদেশের আধিকারিকরা। অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া হেবেই প্রদেশের লোকজনকে বেজিংয়ে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছেনা প্রশাসন। তবে এই করোনা আক্রান্তরা ব্রিটেনের নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত কিনা সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে হেবেই প্রদেশের সিডিসির প্রধান লিকি জানিয়েছেন, সংক্রমণ এসেছে বিদেশ থেকে।
আরও পড়ুন: ৪০ শতাংশ পর্যন্ত মৃত্যু! কোভিড ওয়ার্ডে ছড়াচ্ছে মারণ ছত্রাক
দুই শহরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক কড়া পদক্ষেপ করেছে চিন। দুই শহরে বন্ধ লম্বা রুটের সব যাত্রীবাহী গাড়ি। শুক্রবারই হেবেই প্রদেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ জন। বৃহস্পতিবার আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫১ জন।