ইসলামাবাদ : সম্প্রতি সরকার বদল হয়েছে পাকিস্তানে। আস্থা ভোটে হেরে গদিচ্যুত হয়েছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গদিচ্যুত হওয়ার পর শনিবার প্রথম তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এদিন তিনি বলেছেন যে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকাকালীন হুমকি পেয়েছিলেন। নিউজ়িল্যান্ডের মতো ছোটো এক দেশের প্রধানমন্ত্রীও এরকম হুমকি পান না। তিনি এদিন জানিয়েছেন যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জ়ুলফিকার আলি ভুট্টো ও সামরিক শাসক পারভেজ় মুশারাফও হুমকি পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি যে হুমকি পেয়েছিলেন তা দেশের জন্য লজ্জাজনক।
তিনি অতীতে বহুবার অভিযোগ করেছিলেন যে তাঁর সরকারের পতনের পিছনে রয়েছে বিদেশী ষড়যন্ত্র। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে আরেকবার সেই কথাতেই জোর দিলেন তিনি। তিনি বলেছেন, “আমি আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে বলব যে ডোনাল্ড লু যে ভাষায় কথা বলেছেন তা খুবই উদ্ধত। জো বাইডেনের প্রশাসন আধিকারিক আমাদের দূতকে বলেছেন যে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে ইমরান খানকে সরাতে হবে।” উল্লেখ্য, গতকালই জাতীয় সুরক্ষা কমিটি (NSC) ইমরান খানের এই বিদেশি ষড়যন্ত্রের দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে।
ইমরান এদিন বলেছেন, “শাহবাজ় শরিফ আগে বলেছিলেন যে, আমেরিকায় অবস্থিত পাক দূতাবাস থেকে যে গোপন বার্তা পাঠানো হয়েছিল তা ভুয়ো। তিনি বলেছিলেন যে, এই কেবিল সত্য হলে তিনি এসে আমার সঙ্গে যোগ দেবেন। দয়া করে আসবেন না। আমি এমন চোরকে আমার সঙ্গে নিতে পারি না। তবে অন্তত ক্ষমা চান।” তাঁর আরও সংযোজন যে বর্তমানে পাকিস্তানের মন্ত্রিসভায় এখন উপস্থিত অপরাধীদের সংখ্যা অভূতপূর্ব। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “বাবা ও ছেলে দু’জনেই জামিনে রয়েছেন। তাঁরা অন্য কাউকে খুঁজে পেল না? এরকম মানুষের কাছে দেশকে তুলে দেওয়ার থেকে বড় ষড়যন্ত্র আর কী হতে পারে?”
আরও পড়ুন : Jammu and Kashmir Encounter : উপত্যকায় নিরাপত্তা বাহিনীর বড় সাফল্য, মোদীর সফরের আগে ফের নিকেশ দুই জঙ্গি