ইসলামাবাদ: প্রধানমন্ত্রীর পদ যেত শুক্রবারই, কিন্তু অনাস্থা প্রস্তাব আনার আগেই স্থগিত করে দেওয়া হল শুক্রবার। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান(Imran Khan)-র উপরে আর আস্থা রাখতে পারছেন না বিরোধী দলের নেতারা। ভরসা হারাচ্ছেন নিজের দলের নেতারাও। শুক্রবারই পাকিস্তানের সংসদে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথা ছিল। কিন্তু সংসদের স্পিকার আসাদ কাসের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা খায়াল জ়ামানের মৃত্যুর কারণে অনাস্থা প্রস্তাব পেশের আগেই স্থগিত করে দেওয়া হল অধিবেশন। আপাতত দুইদিনের জন্য রক্ষা পেল ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রীত্ব। ফের সোমবার সংসদে অধিবেশন বসলে এই প্রস্তাব পেশ করা হতে পারে।
শুক্রবারই পাকিস্তানের সংসদ অধিবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশনের শুরুতেই সাংসদের মৃত্যুর জন্য শোক জ্ঞাপন করা হয় ও আগামী ২৮ মার্চ বিকেল ৪টে অবধি অধিবেশন স্থগিত করে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা তথা সাংসদ খায়াল জ়ামান।
এদিকে, গতকালই সংসদে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে বলে সংসদে যোগ দিতে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শাহবাজ় শরিফ, পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জ়ারদারি সহ একাধিক বিরোধী নেতা। কিন্তু প্রথমদিনেই অধিবেশন স্থগিত করে দেওয়ার ঘোষণা করতেই বিরোধী নেতারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অনুরোধ করা হয় যে, অধিবেশন যেন চালু রাখা হয়, কিন্তু স্পিকার নিজের মাইক্রোফোন বন্ধ করে দেন এবং অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে চলে যান।
নিয়ম অনুযায়ী, জাতীয় সংসদে প্রস্তাব পেশ করার তিন থেকে সাতদিনের মধ্যেই ওই প্রস্তাবের উপরে সাংসদদের মত গ্রহণ করতে হয়। সেই কারণেই শুক্রবার অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট গ্রহণের কথা ছিল। বৃহস্পতিবার সংসদের ১৫ পয়েন্টের কর্মসূচিতেও অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করার কথা উল্লেখ করা ছিল।
পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজের নেতা খাওয়াজা আসিফ টুইট করে জানান, ১৬৩ জন বিরোধী দলনেতার মধ্যে ১৫৯ জনই গতকাল সংসদে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু বিনা নোটিসেই গতকাল অধিবেশন স্থগিত করে দেওয়ার ঘোষণা হয়। শাহবাজ শরিফও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন যে, যদি সোমবার অনাস্থা প্রস্তাব পেশ না করতে দেওয়া হয়, তবে এরপর কী হবে, তার জন্য বিরোধীরা দায়ী থাকবে না।