Russia-Ukraine Conflict: ইউক্রেনে যুদ্ধের মাঝেই চিন্তা বাড়ল রাশিয়ার, বড় হানার মুখে ক্রেমলিন!
Russia-Ukraine Conflict: ইউক্রেনিয়ান সংবাদমাধ্যম দ্য কিয়েভ ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে, রাশিয়ান সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওয়েবসাইটেও সমস্যা হচ্ছে এবং রাশিয়ান টিভি চ্যানেলে ইউক্রেনের গান সম্প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
মস্কো: ইউক্রেনে রাশিয়ান আক্রমণের (Russia-Ukraine Conflict) দুদিন ইতিমধ্যেই অতিক্রান্ত। পুতিনের (Vladimir Putin) হানার মুখে চোখে চোখ রেখে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। এর মাঝেই বড়সড় হানার মুখে পড়ল ক্রেমলিন। শনিবার ক্রেমলিনের সরকার ওয়েবসাইট সাইবার হানার মুখে পড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ অনেকক্ষণ ধরেই ওয়েবসাইট ডাউন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রুশ সরকারের বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং রাশিয়ান অনেকগুলি সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইটে সাইবার হানার খবর সামনে আসার পর ক্রেমলিনের সাইবার হানার খবর সামনে এসেছে। শনিবার সন্ধেবেলা রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে কিরগিস্তানের প্রেসিডেন্ট সাদির জাপারভ কথোপকথনের বিষয়টিও প্রকাশিত হয়েছিল। সেই টুইটেই ক্রেমলিনের সরকারি ওয়েবসাইটের উল্লেখ ছিল। জানা গিয়েছে ক্রেমলিনের ওয়েবসাইটের পাশাপাশি আরও ছয়টি সরকারি ওয়েবসাইটও ডাউন রয়েছে।
ইউক্রেনিয়ান সংবাদমাধ্যম দ্য কিয়েভ ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে, রাশিয়ান সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওয়েবসাইটেও সমস্যা হচ্ছে এবং রাশিয়ান টিভি চ্যানেলে ইউক্রেনের গান সম্প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। গতসপ্তাহে আমেরিকার রাশিয়ান দূতাবাস জানিয়েছিল যে ইউক্রেনের ব্যাঙ্কের সাইবার হানায় মস্কো জড়িত নয়। ইউক্রেনে ব্যাঙ্কে সাইবার হানার জন্য রাশিয়াকেই দায়ী করেছিল ওয়াশিংটন, সেই কারণে রুশ দূতাবাসের তরফে ওই বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছিল। আমেরিকার এক সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছিলেন যে, ওয়াশিংটন মনে করে রাশিয়ানদের মদতে ইউক্রেনে সাইবার হানা হয়েছে। যদিও রাশিয়ার দূতাবাস আমেরিকার তোলা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
চলতি মাসের ২৪ তারিখ ইউক্রেনে আক্রমণ করে রাশিয়া। রাশিয়ান আগ্রাসনের মুখে শোচনীয় অবস্থা ইউক্রেনের। পুতিন ইউক্রেন অভিযান ঘোষণার পরেও প্রাণপণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে সেদেশের সেনা বাহিনী। এমনকি হার না মানার বার্তা দিয়ে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছে সাধারণ ইউক্রেনবাসী। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক হৃদয় বিদারক ছবি সামনে এসেছে। এখনও অবধি কিয়েভ দখলে কোনও ক্রমে রাশিয়ান সেনাকে আটকে রাখলেও যেকোনও মুহূর্তে প্রতিরোধ ভেঙে পড়তে পারে। তাই কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নিতে চাইছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কি। এখন পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।
আরও পড়ুন Russia-Ukraine Conflict: শেষমেশ ভারতের শরণাপন্ন ইউক্রেন! মোদীর সঙ্গে কথা জ়েলেনস্কির