Ind vs Pak: সন্ত্রাসবাদী সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হয়ে উঠেছে পাকিস্তান, রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে ইমারনের সরকারকে কড়া বার্তা ভারতের

Ind vs Pak, United nation, ভারতীয় কূটনীতিক বিদিশা মৈত্র রাষ্ট্রপুঞ্জে নিযুক্ত পাকিস্তানের প্রতিনিধি মুনীর আক্রমের (Munir Akram) উদ্দেশে বলেন, পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা আজও যেভাবে রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চকে ব্যবহার করে ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য করেছে, আমরা তার সাক্ষী।

Ind vs Pak:  সন্ত্রাসবাদী সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হয়ে উঠেছে পাকিস্তান, রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে ইমারনের সরকারকে কড়া বার্তা ভারতের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 08, 2021 | 5:41 PM

নিউ ইয়র্ক: পাকিস্তানের মাটি এখনও ভারত (India) বিরোধী সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে সুর চড়াল ভারতীয় কূটনীতিক বিদিশা মৈত্র । মঙ্গলবার রাষ্ট্রপুঞ্জে (United Nations) সন্ত্রাসবাদ ও উস্কানিমূলক বক্তব্য নিয়ে পাকিস্তানকে (Pakistan) তীব্র আক্রমণ করে ভারত। সীমান্তের দু’পারে সন্ত্রাসবাদী সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হয়ে উঠেছে ইসলামাবাদ, এমনটাই মত ভারতের।

রাষ্ট্রপুঞ্জের ৭৫তম শান্তি ও সংস্কৃতি বিষয়ক সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভারতীয় কূটনীতিক বিদিশা মৈত্র (Vidisha Maitra) বলেন “শান্তির সংস্কৃতি শব্দবন্ধটি শুধুমাত্র সম্মেলনে আলোচিত বা উদযাপিত হওয়ার জন্য নয়, বাস্তবিক অর্থে সদস্য দেশগুলির নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে সেই নীতি মেনে চলাও প্রয়োজন।”

ভারতীয় কূটনীতিক বিদিশা মৈত্র রাষ্ট্রপুঞ্জে নিযুক্ত পাকিস্তানের প্রতিনিধি মুনীর আক্রমের (Munir Akram) উদ্দেশে বলেন, “পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা আজও যেভাবে রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চকে ব্যবহার করে ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য করেছে, আমরা তার সাক্ষী। যদি তারা এ ভাবেই সীমান্তের দু’পারে সন্ত্রাসবাদকে (Terrorism) প্রশ্রয় দেয় তবে আমরা সর্বোতভাবে এর বিরোধিতা করব।” পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মৈত্রের এই কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের কূটনৈতিক মহলে সমাদৃত হয়েছে।

পাক কূটনীতিক তাঁর মন্তব্যে, আলোচনার মূল বিষয়বস্তু থেকে সরে গিয়ে কাশ্মীর (Kashmir) প্রসঙ্গ টেনে আনেন। এবং নিহত বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির (Syed Ali Shah) প্রসঙ্গ টেনে ক্রমাগত ভারতকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা  করতে থাকেন।

ভারতীয় কূটনীতিক এই প্রসঙ্গে বলেন,”সন্ত্রাসবাদ অসহিষ্ণুতা ও হিংসার প্রতীক। শান্তির সংস্কৃতি গণতন্ত্র, বহুত্ববাদ, সহানুভূতি, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, আলোচনা এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার ওপর নির্ভরশীল। কোনও ধর্মেই সন্ত্রাসবাদকে সমর্থনের কথা বলা নেই। সমগ্র বিশ্বের উচিৎ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখা।” তিনি উল্লেখ করেন, যাঁরা ধর্মকে ঢাল করে সন্ত্রাস ছড়ায়, তাঁদের ও সন্ত্রাসবাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

বিদিশা মৈত্র বলেন, “ভারত সবসময় মানবিকতা, গণতন্ত্র ও অহিংসার পক্ষে। যাঁরা ধর্মের নামে হিংসাকে আশ্রয় করে, তাঁদের বিরুদ্ধে ভারত সবসময় লড়বে।” তিনি আরও বলেন যে সমগ্র বিশ্ব যখন করোনার (Corona) মতো এক ভয়ঙ্কর মহামারির সম্মুখীন হয়েছে, সেই সময়ও সন্ত্রাসবাদী ও বিচ্ছিনতামূলক কার্যকলাপের মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাদের। যা যথেষ্ট আশঙ্কার।

১৮৯৩ সালে শিকাগো (Chicago) মহা ধর্ম সম্মলনে স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda) বিখ্যাত বক্তৃতা উদ্ধৃত করে ভারতীয় কূটনীতিক বলেন “ভারত ‘বৈচিত্রের মধ্যে’ ঐক্য়ে বিশ্বাসী। আমাদের দেশ শুধুমাত্র হিন্দু (Hindusm), বৌদ্ধ (Buddhism), শিখ  (Sikhism) জন্মভূমি নয়, আমাদের বহুত্ববাদী দেশ প্রাচীন নীতি ‘সর্ব ধর্ম সম্ভব’ এই তত্ত্বে বিশ্বাসী। এর অর্থ আমরা ধর্মের প্রতি সমান সহানুভূতিশীল। ”

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে পাকিস্তানকে এই ধরনের কড়া বার্তা দেওয়া একান্তই প্রয়োজনীয় ছিল। সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে ভারত যে কোনও আপোষ করতে প্রস্তুত নয় সমগ্র বিশ্বের সামনে ভারত আবার তা তুলে ধরল

আরও পড়ুন জবাবে অসঙ্গতি? ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অভিষেককে ফের ডাকল ইডি