AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মোদীর আড়াই চালেই মাত কিম! উত্তর কোরিয়ায় হতে চলেছে বড় কর্মকাণ্ড

North Korea-India: এই মুহূর্তে রাশিয়া-চিনের অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু উত্তর কোরিয়া। পুতিনকে সাহায্য করতে নাকি ইউক্রেনে সেনাও পাঠিয়েছেন কিম। এই অবস্থায় উত্তর কোরিয়াকে হঠাত্‍ করে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া শুরু করল নয়া দিল্লি। কিমের দেশ নিয়ে এত উত্‍সাহ কেন?

| Updated on: Dec 23, 2024 | 6:03 AM
Share

কিমের ঘরে ভারতের ঘর। ঠিকই শুনছেন। সেই কিম। ডেঞ্জারাস, আনপ্রেডিক্টেবল ও দুনিয়ায় একঘরে হয়ে থাকা কিম কিম জং উন। তার দেশ উত্তর কোরিয়ায় নতুন করে খুলে যাচ্ছে ভারতের দূতাবাস। বুধবার যখন বেজিংয়ে ভারত- চিনের হাই-প্রোফাইল বৈঠক চলছে, তখনই উত্তর কোরিয়ার রাজধানীতে পিং-ইয়ং-এ বেশ কয়েকটা ব্যাপারস্যাপার ঘটে গেল। প্রথমে কিমের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক, পরে কিমের বিশেষ দূতের সঙ্গে আলোচনা করলেন ভারতের প্রতিনিধিরা।

নতুন বছরের শুরুতেই পিয়ং ইয়ংয়ে ভারতের দূতাবাস চালু হচ্ছে। যেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার কাজও শেষ। অভিজ্ঞ কূটনীতিকরা বলছেন, নিরাপত্তা চেক-টেক পরের কথা। ওই বাড়িতে আড়ি পাতার যন্ত্রপতি আছে কিনা চেক করা হয়েছে। বিদেশি দূতাবাস ও কূটনীতিকদের ফ্ল্যাটে আড়ি পাতা উত্তর কোরিয়ার বহু পুরনো অভ্যাস। জেনেশুনে সেই ফাঁদে পা দিতে চায় না নয়াদিল্লি।

উত্তর কোরিয়ায় বরাবরই ভারতের দূতাবাস ছিল। ২০২‍১ সালে কোভিড কালে দূতাবাস বন্ধ করে আধিকারিকদের ফিরিয়ে আনা হয়। তবে কূটনৈতিক সম্পর্ক কখনই ছিন্ন হয়নি। দুনিয়ায় মাত্র ১০টি দেশের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক বরাবর অটুট। ভারত তার অন্যতম। তবে এই প্রথম কিমের দেশে সমস্ত সুবিধা সহ দূতাবাস চালু করছে ভারত। অর্থাত্‍ এখান থেকে যেমন ভিসা সংক্রান্ত কাজ হবে, তেমনি কূটনৈতিক কাজকর্মও চলবে। দূতাবাসে কর্মী সংখ্যাও বাড়বে। কিম জং উনের অফিসের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখবে ভারত। এর আগে কখনও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে এতটা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ গড়ে তোলেনি ভারত।

এই মুহূর্তে রাশিয়া-চিনের অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু উত্তর কোরিয়া। পুতিনকে সাহায্য করতে নাকি ইউক্রেনে সেনাও পাঠিয়েছেন কিম। এই অবস্থায় উত্তর কোরিয়াকে হঠাত্‍ করে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া শুরু করল নয়া দিল্লি। কিমের দেশ নিয়ে এত উত্‍সাহ কেন? জয়শঙ্করের মন্ত্রক একেবারে চুপচাপ। অভিজ্ঞ কূটনীতিকরা মনে করাচ্ছেন, ভারত ও উত্তর কোরিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বরাবরই ভাল। আন্তর্জাতিক মহল যখন উত্তর কোরিয়াকে ব্রাত্য করে রেখেছে, ভারত তখন অন্য পথেই হেঁটেছে। তাই কোভিড বিদায়ের পর ফের ওদেশে দূতাবাস চালু হলে তাতে অস্বাভাবিক কিছু নেই।

তবে বিদেশমন্ত্রকের একটি সূত্র যা দাবি করছে, সেটা ভীষণ ইন্টারেস্টিং। উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক নাকি ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ভীষণ আগ্রহী। এবং তার হয়ে ভারতের কাছে দরবার করেছেন ভারতেরও কোনও বন্ধু দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। কিমের সঙ্গে বন্ধুত্বে ভারতের তো কোনও ক্ষতি নেই। বরং লাভ হলেও হতে পারে। গোটা বিশ্বকে আরও একবার দেখিয়ে দেখা যাবে, ভারতের বিদেশনীতি শুধু স্বাধীনই নয়, নিরপেক্ষও বটে।