AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Melbourne-Delhi flight: বছর পর ভারতে ফেরা, বিমানেও উঠেছিলেন তরুণী, কিন্তু সিটবেল্ট লাগাতে যেতেই…

Melbourne-Delhi flight: শেফ হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্নকে সাকার করতে ২০২০-র মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় চলে গিয়েছিলেন মনপ্রীত কওর। তারপর এসেছিল কোভিড মহামারি, ভারতে আর ফেরা হয়নি। এবার বিমানেও উঠে পড়েছিলেন। কিন্তু, ফেরা আর হল না।

Melbourne-Delhi flight: বছর পর ভারতে ফেরা, বিমানেও উঠেছিলেন তরুণী, কিন্তু সিটবেল্ট লাগাতে যেতেই...
বিমানে ওঠার পর অবশ্যই সিটবেল্ট বেঁধে নেবেন। সিটবেল্ট না বাঁধলে হঠাৎ ঝাঁকুনির সময় আপনি পড়ে যেতে পারেন। বিশেষত, বিমান ওড়া এবং নামার মুহূর্তে সিটবেল্ট লাগিয়ে রাখা জরুরিImage Credit source: Meta AI
Follow Us:
| Updated on: Jul 01, 2024 | 10:39 PM

মেলবোর্ন: শেফ হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্নকে সাকার করতে ২০২০-র মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় চলে গিয়েছিলেন মনপ্রীত কওর। তারপর এসেছিল কোভিড মহামারি, ভারতে আর ফেরা হয়নি। চার বছর পর বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে ভারতে ফিরেছিলেন। বিমানেও উঠে পড়েছিলেন। কিন্তু, ফেরা আর হল না। মানে ফিরবেন তিনি, কিন্তু, কফিন বন্দি হয়ে। মেলবোর্ন থেকে দিল্লি ফেরার পথে, বিমানটি ওড়ার আগেই অকস্মাত মৃত্যু হয়েছে এই ২৪ বছরের ভারতীয় তরুণীর।

স্থানীয় প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিমানে ওঠার আগেই অসুস্থ বোধ করেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন মনপ্রীত। তবে, কোনও সমস্যা ছাড়াই তিনি বিমানে উঠতে পেরেছিলেন। বিপদ ঘটে সিটবেল্ট লাগানোর সময়। তাঁর বন্ধু গুরদীপ গ্রেওয়াল তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, সিটবেল্ট লাগাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলেন মনপ্রীত। কিছুতেই লাগাতে পারছিলেন না। বিমানটি ছাড়ার ঠিক আগে, তিনি ধপ করে সিটের সামনে পড়ে যান। অবিলম্বে তাঁর মৃত্যু হয়।

এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে গত ২০ জুন। মনপ্রীত সংজ্ঞা হারানোর সময় বিমানটি মেলবোর্নের বোর্ডিং গেটেই ছিল। কেবিন ক্রু এবং জরুরি পরিষেবাগুলি তাঁকে সাহায্য করার জন্য ছুটে এসেছিল। কিন্তু তারা কিছু করতে পারেনি। তাদের কিছু করার সুযোগ দেয়নি আকস্মিক মৃত্যু। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মনপ্রীতের মৃত্যুর কারণ যক্ষ্মা। তাঁর ফুসফুসের অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তবে, তিনি আগে থেকেই এই রোগে ভুগছিলেন কিনা, সেই বিষয়টি স্পষ্ট নয়। মনপ্রীতের অস্ট্রেলিয়ার বন্ধুরা জানিয়েছে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি অস্ট্রেলিয়া পোস্টে কাজ করতেন। তিনি প্রায়শই ভিক্টোরিয়া শহরের আশেপাশে বন্ধুদের নিয়ে বেড়াতে যেতেন।