Pakistan on Indus Treaty: ‘ভারতীয়দের রক্ত বইবে সিন্ধু নদীতে’, চিৎকার বিলাওয়ালের, জল বন্ধ হতেই আসল রূপ বেরিয়ে এল পাকিস্তানের
Indus Treaty: সিন্ধু নদীর রাশ যে ভারতেরই হাতে, সে কথাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে, সিন্ধুর জল নিয়ন্ত্রণ করলে প্রভাব পড়বে পাকিস্তানের কৃষিক্ষেত্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনেও। তবে এখনও পাকিস্তান বলে চলেছে, 'সিন্ধু নদী আমাদেরই।'

নয়া দিল্লি: ভারত সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করার পর থেকেই বিপাকে পড়েছে পাকিস্তান। এই সিদ্ধান্ত ‘অবৈধ’ বলে পাকিস্তান বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেও নয়া দিল্লির এই পদক্ষেপে নড়েচড়ে বসেছে ইসলামাবাদ। ইতিমধ্যেই সে দেশে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও হয়েছে এই বিষয়ে। মুখে স্বীকার না করলেও, ভারত চুক্তি স্থগিত করে দেওয়ায়, পাকিস্তানকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে বেগ পেতে হবে, তা স্পষ্ট। আর এবার সরাসরি হুমকি শোনা গেল পাক নেতার গলায়।
সিন্ধু নদীর রাশ যে ভারতেরই হাতে, সে কথাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে, সিন্ধুর জল নিয়ন্ত্রণ করলে প্রভাব পড়বে পাকিস্তানের কৃষিক্ষেত্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনেও। তবে এখনও পাকিস্তান বলে চলেছে, ‘সিন্ধু নদী আমাদেরই।’ পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) প্রধান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেন, “সিন্ধু নদী আমাদের ছিল, আমাদেরই থাকবে। হয় আমাদের জল এই নদী দিয়ে বইবে, নাহলে ওদের রক্ত বইবে।” তাঁর দাবি, সিন্ধু সভ্যতা আসলে পাকিস্তানেরই।
শুক্রবার এক জনসভা থেকে রীতিমতো হুঙ্কার দেন বিলাওয়াল। তাঁর দাবি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যদি সিন্ধু সভ্যতার বাহক বলে নিজেদের দাবি করুক না কেন, আসল সভ্যতা তো ছিল মহেঞ্জোদারোতে। তাই আমরাই এই সভ্যতার প্রকৃত বাহক।
পিপিপি প্রধানের কথায়, ভারত অবৈধভাবে সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করেছে। এদিকে, পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার পর প্রধানমন্ত্রী মোদী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ভারত বদলা নেবেই। বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকে জঙ্গিদের খুঁজে বের করে আনা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের ৮০ শতাংশ কৃষিজমিতে যে জলের জোগান যায় সিন্ধু নদী থেকে, সেই ক্ষেত্রে বিপদে পড়তে পারে পাকিস্তান। ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তিতে বলা আছে, দুই দেশের মধ্যে বয়ে চলা সিন্ধুর ৬ উপনদীর জল কীভাবে ব্যবহার হবে। মোদী সরকারের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে ভুট্টো আরও বলেন, “আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কেউই সিন্ধুর জল সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে ভারতকে সমর্থন করবে না।”
