AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Pakistan: নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে পাক সরকার? সেনা অভ্যুত্থান কি সময়ের অপেক্ষা?

Pakistan: পাকিস্তানের আর্জিতেই যে সংঘর্ষ বিরতি তাও স্পষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু সেই ঘটনার ৩ ঘন্টাও কাটার আগে কেন ফের হামলা করল পাকিস্তান? তবে কি পাক সরকারের কথা আর শুনছে না পাক সেনা? ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের প্রশ্ন তবে আবার একটা সেনা অভ্যুত্থান হতে চলেছে পড়শি দেশে?

Pakistan: নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে পাক সরকার? সেনা অভ্যুত্থান কি সময়ের অপেক্ষা?
Follow Us:
| Updated on: May 11, 2025 | 3:42 AM

শনিবার বিকেল ৫ টা থেকে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতির কথা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। পাকিস্তানের আর্জিতে সেই সংঘর্ষ বিরতিতে সায় দিয়েছিল ভারত। কিন্তু কথায় বলে ‘স্বভাব যায় না মলে’। পাকিস্তানও ঠিক তাই। সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণার ৩ ঘণ্টার মধ্যেই কাশ্মীর-গুজরাট সহ দেশের বিভিন্ন অংশে হামলা চালায় পাকিস্তান। চলে ভীষণ গুলির লড়াই। করে ড্রোন অ্যাটাকও। যদিও প্রায় সব চেষ্টাকেই ব্যর্থ করেছে ভারতীয় সেনা। তবে এই অ্যাটাকের পরে আরও একটা বড় প্রশ্ন উঠে আসছে। তবে কি পাক সেনার উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে সেই দেশের সরকার? পাক সরকারের কথায় কান দিচ্ছে না সেনা? কেন এই কথা বলছি?

ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রি শনিবার সাংবাদিক মাধ্যমে জানিয়েছিলেন দুপুর ৩টে ৩৫ নাগাদ পাকিস্তানের DGMO ফোন করেছিল ভারতের DGMOকে। তারপরেই সিদ্ধান্ত হয় সংঘর্ষ বিরতির। ডোনাল্ড ট্রাম্প এক্স মাধ্যমে পোস্ট করে লিখেছিলেন দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরেই সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হয়েছে দুই দেশ। যার পরে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের তরফ থেকেও একটি পোস্ট করা হয় এক্স-এ। যেখানে সংঘর্ষ বিরতির জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্সকে ধন্যবাদ জানায় তাঁরা। পাকিস্তানের আর্জিতেই যে সংঘর্ষ বিরতি তাও স্পষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু সেই ঘটনার ৩ ঘন্টাও কাটার আগে কেন ফের হামলা করল পাকিস্তান? তবে কি পাক সরকারের কথা আর শুনছে না পাক সেনা? ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের প্রশ্ন তবে আবার একটা সেনা অভ্যুত্থান হতে চলেছে পড়শি দেশে? শাহবাজের সরকারের সংঘর্ষ বিরতিকে সমর্থনে উঠছে এই প্রশ্নও।

প্রসঙ্গত, এর আগে বেশ কয়েকবার সেনা অভ্যুত্থান দেখেছে পাকিস্তান। প্রথম অভ্যুত্থান ঘটে ১৯৫৮ সালের ২৭ অক্টোবর। সেই সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ফিরোজ খান নুন। সেনাপ্রধান জেনারেল মুহাম্মদ আইয়ুব খান এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ইস্কান্দার মির্জাকে উৎখাত করেন এবং নিজেই পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি হন। এই অভ্যুত্থানের পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তানে সামরিক আইন জারি করা হয়।

দ্বিতীয় অভ্যুত্থান হয় ৫ জুলাই, ১৯৭৭। সেই সময় জুলফিকার আলি ভুট্টো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। জেনারেল মুহাম্মদ জিয়া-উল হক এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার স্থগিত করেন এবং ১৯৭৮ সালে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। জুলফিকার ভুট্টোকে পরবর্তীতে ১৯৮০ সালে ফাঁসি দেওয়া হয়।

তৃতীয় অভ্যুত্থান ঘটে ১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর। সে সময়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন আজকের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের দাদা নওয়াজ শরিফ। জেনারেল পারভেজ মোশাররফ এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নওয়াজ শরিফকে সরিয়ে নিজেকে প্রধান নির্বাহী ঘোষণা করেন। পরে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। এবারেও ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে কিনা এখন সেটাই দেখার।

প্রতিবেদনটি সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে লেখা।