Pakistan First President: আজকের দিনেই জন্ম, আজকের দিনেই মৃত্যু, মুর্শিদাবাদের ছেলে পাকিস্তানের প্রথম রাষ্ট্রপতির

Iskandar Ali Mirza: পাকিস্তানের প্রথম রাষ্ট্রপতি আদপে ছিলেন একজন বাঙালি! জানতেন? আরও বড় কথা তিনি বাংলার এক নবাবের বংশধরও, ইতিহাস বইতেও যাঁর কথা রয়েছে।

Pakistan First President: আজকের দিনেই জন্ম, আজকের দিনেই মৃত্যু, মুর্শিদাবাদের ছেলে পাকিস্তানের প্রথম রাষ্ট্রপতির
ইস্কান্দর আলি মির্জা, পাকিস্তানের প্রথম রাষ্ট্রপতি
Follow Us:
| Updated on: Nov 13, 2022 | 3:55 PM

সুপ্রিয় ঘোষ

পাকিস্তানের (Pakistan) প্রথম রাষ্ট্রপতির নাম জানেন? একে পাকিস্তান, তায় রাষ্ট্রপতি, না জানাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, যদি বলি তিনি একজন বাঙালি, তাহলে? এর বাইরে অবশ্য তাঁর অন্য পরিচয় আছে, সে কোথায় আসছি পরে। তাঁর নাম ইস্কান্দার আলি মির্জা (Iskandar Ali Mirza)। ১৮৯৯ সালের ১৩ নভেম্বর বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তৎকালীন বেঙ্গল সিভিল সার্ভিসেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

১৯৪৬ সালে ইস্কান্দর আলি মির্জা ব্রিটিশ ভারতের (British India) রক্ষা মন্ত্রণালয়ের জয়েন্ট সেক্রেটারি হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তীতে দেশভাগের পর তাঁকে পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খান (Liaquat Ali Khan) তাঁকে প্রথম ডিফেন্স সেক্রেটারি হিসেবে নিযুক্ত করেন। প্রায় ৭ বছর এই পদে ছিলেন তিনি। এরপর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ভাষা আন্দোলন শুরু হলে তাঁকে সেখানেই গভর্নর নিযুক্ত করা হয়। তাঁর নিজের জায়গায় যাতে তিনি এই আন্দোলনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। খুব বেশিদিন যদিও তাঁকে সেই পদে থাকতে হয়নি। সেই বছরই তাঁকে রাজ্য ও সীমান্ত অঞ্চলের মন্ত্রী (Minister Of State And Frontier Region) হিসেবে আমন্ত্রণ করা হয়। সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (Ministry Of Interior) দায়িত্বও পান তিনি।

এরপরই ১৯৫৫ সালে পাকিস্তানের চতুর্থ গভর্নর জেনারেল হন তিনি। এরপরই ১৯৫৬ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তানের প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন মির্জা। যদিও সেখানে তাঁর শাসনকাল খুব একটা সুখকর হয়নি। ১৯৫৮ সালের ২৭ অক্টোবর তিনি যখন সংবিধান বাতিল করে দেন ও দেশে মার্শাল আইন জারি করেন, তখনই সেনা অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে দেশের ক্ষমতা দখল করেন সেনা প্রধান জেনারেল আয়ুব খান। ফলে, ইস্কান্দর আলি মির্জা লন্ডনে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।

এরপর আর পাকিস্তানে ফিরতে পারেননি ইস্কান্দর মির্জা। এমনকি তাঁর মৃত্যুর পরও পাকিস্তানে ফেরানো হয়নি তাঁর দেহ, তাঁর আত্মীয়দেরও পাকিস্তানের বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি সেই সময়। পাকিস্তান থেকে পালিয়ে লন্ডনে তাঁর দিন কেটেছিল খুবই কষ্টে। সেখানে তিনি একটি ছোট পাকিস্তানি খাবারের দোকান চালাতেন। ১৯৬৯ সালে ১৩ নভেম্বর, তাঁর ৭০তম জন্মদিনের দিন লন্ডনেই তাঁর প্রয়াণ ঘটে। এত বড় পরিবারের একজন মানুষ, তাঁকে এইভাবে দিন কাটাতে হবে, তিনি নিজেই ভাবেননি কখনও। ভাবছেন তো, এত বড় পরিবার বলতে আসলে কী? আগেই বলেছিলাম, তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি আসলে মুর্শিদাবাদের এক নবাবের বংশধর। আরও স্পষ্ট করে বললে, তিনি মির জাফরের বংশধর।