Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Japan: হাসি না পেলেও দিনে অন্তত একবার হাসতেই হবে, ‘এই’ দেশে জারি নয়া আইন

Laugh mandatory: রামগরুরের ছানা হয়ে থাকলে হবে না। দিনে অন্তত একবার হাসতে হবে। হাসতেই হবে। নাগরিকদের জন্য এমনই আইন জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। কারণ, এক গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, হাসলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। পাঁচ বছর আগে, জার্নাল অব এপিডেমিওলজিতে এই বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছিল। এবার সেই গবেষণাকে স্বীকৃতি দিয়ে জারি হল আইন।

Japan: হাসি না পেলেও দিনে অন্তত একবার হাসতেই হবে, 'এই' দেশে জারি নয়া আইন
প্রতীকী ছবি Image Credit source: Meta AI
Follow Us:
| Updated on: Jul 11, 2024 | 7:29 PM

টোকিয়ো: রামগরুরের ছানা হয়ে থাকলে হবে না। দিনে অন্তত একবার হাসতে হবে। হাসতেই হবে। নাগরিকদের জন্য এমনই আইন জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। কারণ, এক গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, হাসলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। পাঁচ বছর আগে, জার্নাল অব এপিডেমিওলজিতে এই বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছিল। গবেষণাটি করেছিল জাপানের ইয়ামাগাটা ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের একটি হবেষণা দল। তারা জানিয়েছিল, শুধু হার্ট ভাল থাকে তাই নয়, হাসির একগুচ্ছ উপকারিতা রয়েছে। আর তারপর, হাসিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিল জাপান। আরও নির্দিষ্ট করে বললে জাপানের ইয়ামাগাতা প্রিফেকচার।

উত্তর জাপানের এই প্রিফেকচারের স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার পর, গত সপ্তাহে হাসি বিষয়ে একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের মতে, এই অধ্যাদেশ জারি করায়, স্বাস্থ্যের উপর হাসির কতটা উপকারী প্রভাব পড়ে, সেই সম্পর্কে আরও ভালভাবে বুঝতে পারবেন ইয়ামাগাতার নাগরিকরা। আর তা উপলব্ধি করতে পারলে, দিনে অন্তত একবার হেসে, মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য বজায় রাখায় সচেষ্ট হবেন তাঁরা, এমনটাই আশা তাঁদের। আর সেই লক্ষ্যেই দিনে অন্তত একবার হাসা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ‘হাসিখুশি পরিবেশ’ তৈরি করতে। সেই সঙ্গে, প্রতি মাসের অষ্টম দিনটিকে “হাসির দিন” হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। ওই দিন হাসাহাসির উপকারিতাকে আরও বেশি বেশি করে প্রচার করা হবে।

তবে, হাসি বাধ্যতামূলক করার নিয়ম জারির বিরোধিতা করেছে জাপানের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এটা সাধারণ মানুষের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন বলে সমালোচনা শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে যারা হাসতে পারে না, তাদের উপর এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। জাপানের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা, তোরু সেকি বলেছেন, “ভাবনার স্বাধীনতা ও ধর্মের স্বাধীনতার পাশাপাশি, হাসা বা না হাসাটাও এক মৌলিক মানবাধিকার, সংবিধানে যার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।” প্রিফেকচারাল পলিটিক্স ক্লাব জোটের নেতা, সাতোরু ইশিগুরো বলেছেন, “অসুস্থতা বা অন্যান্য কারণে যাদের হাসতে অসুবিধা হয়, তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করা উচিত নয়।” সাধারণ মানুষদেরও অনেকেই বলছেন, হাসি ভাল জিনিস ঠিকই। তবে এটা ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের বিষয়। আইন করে সাধারণ মানুষকে বাধ্য করা উচিত নয়।

ইয়ামাগাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় ৪০ বছর বা তার কম বয়সী প্রায় ১৭,১৫২ জন অংশ নিয়েছিলেন। কত ঘন-ঘন তাদের হাসি পায়, দিনের কোন সময় তারা হাসে – এই রকম বহু প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন তাঁরা। এরপর বেশ কয়েক বছর ধরে তাদের স্বাস্থ্যের রেকর্ড রাখা হয়। দেখা গিয়েছিল, যারা সপ্তাহে অন্তত একবার হাসে, তাদের কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা বা হৃদয়ের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তবে এই ক্ষেত্রে শব্দ করে উচ্চগ্রামে হাসাকেই হাসি হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। নীরবে হাসি, মুচকি হাসিকে, হাসি বলে ধরা হয়নি।