অসলো : যে কোনও গণতন্ত্রে মত প্রকাশের স্বাধীনতা (Freedom Of Expression) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নোবেল শান্তি পুরস্কারের (Nobel Peace Prize) জন্য দুই সাংবাদিকের (Journalist) নাম বেছে নিয়ে এমনটাই বলা হয়েছে নোবেল কমিটির তরফে। ২০২১- এর নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন ফিলিপিন্সের সাংবাদিক মারিয়া রেসা ও রুশ সাংবাদিক দমিত্রি মুরাতোভ। জানা যায়, এই দুই সাংবাদিককে তাঁদের কাজের জন্য নিজেদের দেশে রোষের মুখে পড়তে হয়েছে। তারপরও থেমে থাকেননি তাঁরা। সেই কাজকেই স্বীকৃতি দিল নোবেল কমিটি।
নরওয়ের নোবেল কমিটির চেয়ার-ওম্যান মেরিট বেরিট রেস বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য নিজেদের দেশে যে লড়াই তাঁরা লড়েছেন তারই স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার দেওয়া হল। তিনি উল্লেখ করেছেন বিশ্বের যত সাংবাদিক গণতন্ত্র আর মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে তাদের প্রত্যেকের প্রতিনিধি এই দুই সাংবাদিক।
১৯৩৫ সালে শেষ বার নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন এক সাংবাদিক। নিজের দেশে যুদ্ধ পরবর্তী রণসজ্জার গোপন ছবি ফাঁস করেছিলেন জার্মান সাংবাদিক কার্ল ভন কার্ল ফন অসিয়েত্স্কি। এরপরই নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।
ফিলিপিন্সের সাংবাদিক মারিয়া বর্তমানে ‘ব়্যাপলার’ নামে নামে একটি নিউজ ওয়েবসাইট-এর সিইও। এর আগে একাধিক সংবাদ মাধ্যমে কাজ করেছেন তিনি। ২০২০-তে ফিলিপিন্সের বিতর্কিত অ্যান্টি সাইবার ক্রাইম আইনে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সেই ঘটনায় সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল মানবাধিকার সংগঠনগুলো। ফেক নিউজ বা ভুয়ো খবর নিয়েও লড়াই করেছেন তিনি। সেই কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৮-তে টাইম ম্যাগাজিনে পারসন অব দ্য ইয়ার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল মারিয়ার নাম।
২০১১ সালে তিনি নিজের সংস্থার ‘ব়্যাপলার’-এর কাজ শুরু করেন। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও তিন মহিলা। পরে ২০১৩ সালের ব়্যাপলার একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ফিলিপিন্সের অন্যতম বড় সংবাদমাধ্যম হয়ে ওঠে ব়্যাপলার। বর্তমানে সেখানে অন্তত ১০০ জন সাংবাদিক কাজ করেন। মারিয়া ওই ওয়েবসাইটের এক্সিকিউটিভ এডিটর ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার পদে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: Air India Bid Winner: টাটার ঘরে ফিরল ‘মহারাজ’, ১৮ হাজার কোটিতে এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা পেল TATA Sons