AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Air India Bid Winner: টাটার ঘরে ফিরল ‘মহারাজ’, ১৮ হাজার কোটিতে এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা পেল TATA Sons

Tata Sons win Air India bid: ঋণে জর্জরিত সংস্থাকে নতুন করে দাঁড় করাতে এই বেসরকারিকরণের এই উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। এয়ার ইন্ডিয়ার মোট ঋণের পরিমাণ ৪৩ হাজার কোটি টাকা।

Air India Bid Winner: টাটার ঘরে ফিরল 'মহারাজ', ১৮ হাজার কোটিতে এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা পেল TATA Sons
আবার মহারাজার মালিক টাটা (অলংকরণ- অভীক দেবনাথ)
| Edited By: | Updated on: Oct 08, 2021 | 5:31 PM
Share

নয়া দিল্লি: টাটা সন্সের (TATA Sons) হাতে গেল এয়ার ইন্ডিয়া (Air India)। ১৮,০০০ কোটি টাকায় এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা পেল টাটা। সর্বোচ্চ দরপত্র (Highest Bid) দিয়েই এয়ার ইন্ডিয়া অধিগ্রহন করেছে সংস্থা। আজ শুক্রবার অনুমোদন দিল কেন্দ্র। ৬৮ বছর আগে টাটা-রাই ছিল এয়ার ইন্ডিয়া মালিক। তাই এই সংস্থা নিয়ে টাটা সন্সের আবেগ রয়েছে। ঋণের ভারে জর্জরিত এয়ার ইন্ডিয়ার নিলাম হয়েছিল আগেই। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি বলে জানানো হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে।

টাটা ছাড়াও আরও এক বেসরকারি বিমান সংস্থা স্পাইস জেটের কর্ণধার অজয় সিংহ এয়ার ইন্ডিয়ার শেয়ার কেনার জন্য দরপত্র জমা দিয়েছিলেন। ১৫ হাজার কোটি টাকায় মালিকানা পেতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু টাটাদের বিড সেই দরপত্রকে ছাপিয়ে যায়। তাই শেষ পর্যন্ত রতন টাটার দরপত্রেই ছাড়পত্র দিল কেন্দ্র।

জানা গিয়েছে মোট ৭০ হাজার কোটি টাকার লোকসান হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার। এই সংস্থার জন্য প্রত্যেকদিন সরকারের ক্ষতি হচ্ছে ২০ কোটি টাকা। এর আগেও একবার এয়ার ইন্ডিয়ার বেসরকারিকরণের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু বিপুল ঋণের বোঝা থাকার কারণে কোনও সংস্থা উৎসাহ দেখাচ্ছিল না। ফলে, তখন সফল হয়নি কেন্দ্র। ঋণের বোঝা থাকা সত্ত্বেও আজও এয়ার ইন্ডিয়া দেশের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ বিমান সংস্থা। বর্তমানে দেশের সব বিমানবন্দরের মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার ডোমেস্টিক বিমানের জন্য বরাদ্দ ৪,৪০০ টি ল্যান্ডিং ও পার্কিং স্লট। আন্তর্জাতিক বিমানের জন্য বরাদ্দ ১৮০০ টি ল্যান্ডিং ও পার্কিং স্লট। এ ছাড়া দেশের বাইরে ৯০০ টি স্লট রয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার জন্য।

বছরের পর বছর লাভের মুখ দেখেনি এয়ার ইন্ডিয়া। কার্যত ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে পড়েছিল। এ ভাবে সংস্থা আর চালানো সম্ভব হচ্ছিল না সরকারের পক্ষে। এর আগেও অনেক সময় এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, তবে কোনও সরকারই সফল হয়নি। কখনও রাজনৈতিক বিরোধিতায় আটকে গিয়েছে বিক্রি, আবার কখনও ক্রেতা পাওয়া যায়নি।

১৯৩০-এ প্রথমবার এই সংস্থা বিমান ওড়ায়। তৎকালীন অবিভক্ত ভারতে মুম্বই থেকে করাচি পর্যন্ত উড়েছিল সেই বিমান। পরে বাণিজ্যিক সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। পরে সেই সংস্থার নাম বদলে হয় এয়ার ইন্ডিয়া। যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে ওঠে সেই উড়ান সংস্থা। কিন্তু সাম্প্রতিককালে বেসরকারি উড়ান সংস্থাগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়া। দেশে এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা হারায় এই সংস্থা। কারণ তুলনামূলকভাবে সস্তায় ওড়ার সুযোগ করে দেয় আরও অনেক সংস্থা।

২০০৭-এর ‘ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনস লিমিটেড’-এর সঙ্গে যুক্ত হয় এয়ার ইন্ডিয়া। কিন্তু কোনওভাবেই লাভের মুখ দেখানো সম্ভব হচ্ছিল না এই সংস্থাকে। ২০০৭-তে ইউপিএ সরকারের আমলেও এই সংস্থার বেসরকারিকরণের কথা ভাবা হয়। টাটা গ্রুপের হাতে বর্তমানে রয়েছে দুটি উড়ান সংস্থা- এয়ার এশিয়া ও ভিস্তারা। তবে এয়ার ইন্ডিয়ার ক্ষেত্রে পুরনো আবেগ রয়েছে টাটার।

আরও পড়ুন: Calcutta High Court: ‘সব ভুলে কাজে মন দিন’, অধ্যক্ষের সঙ্গে সিবিআই-ইডির দ্বন্দ্বে নির্দেশ হাইকোর্টের