AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Calcutta High Court: ‘সব ভুলে কাজে মন দিন’, অধ্যক্ষের সঙ্গে সিবিআই-ইডির দ্বন্দ্বে নির্দেশ হাইকোর্টের

Tussle between West Bengal Assembly and ED-CBI: আগামী দিনে যদি ফের এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে ইডি-সিবিআইয়ের জন্য আদালতের দরজা খোলা রাখলেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। আপাতত গোটা বিষয়টি বাদ দিয়ে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছেন না বিচারপতি।

Calcutta High Court: 'সব ভুলে কাজে মন দিন', অধ্যক্ষের সঙ্গে সিবিআই-ইডির দ্বন্দ্বে নির্দেশ হাইকোর্টের
অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। ফাইল চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Oct 08, 2021 | 4:29 PM
Share

কলকাতা: বিধানসভার অধ্যক্ষ কি আদৌ ডেকে পাঠাতে পারেন ইডি বা সিবিআই আধিকারিকদের? সেই প্রশ্নের কোনও সমাধান হল না কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা এই সংক্রান্ত বিষয়ে ইডি ও সিবিআইয়ের তরফে দায়ের করা মামলার কোনও নির্দেশ ছাড়াই নিষ্পত্তি করে দিলেন।

আজ কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার মন্তব্য, ‘রাজনৈতিক ঝগড়া যথেষ্ট হয়েছে। স্পিকার – সিবিআই, ইডি দ্বৈরথও যথেষ্ট হয়েছে। সব ভুলে কাজে মন দিন।’ আজ সিবিআই, ইডি’র তরফে নতুন কোনও নালিশ কানেই নিল না হাইকোর্ট। কোনওরকম নির্দেশ ছাড়াই সিবিআই, ইডি আবেদনের নিষ্পত্তি করে দিলেন বিচারপতি। তবে ভবিষ্যতে সিবিআই, ইডি আধিকারিকদের যদি ফের বিধানসভায় ডাকা হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি চাইলে আসতেই পারে আদালতে। এমনটাই জানিয়েছেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা।

অর্থাৎ, এখনকার মতো গোটা বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দিতে চাইছে না কলকাতা হাইকোর্ট। তবে আগামী দিনে যদি ফের এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে ইডি-সিবিআইয়ের জন্য আদালতের দরজা খোলা রাখলেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। আপাতত গোটা বিষয়টি বাদ দিয়ে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছেন না বিচারপতি।

নারদ-কাণ্ডে সিবিআই ও ইডি চার্জশিট দিয়েছিল দুই মন্ত্রী সহ ৩ বিধায়ককে। চার্জশিটে ছিল ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্রের নাম। এ ক্ষেত্রে বিধানসভার সচিবালয়ের বক্তব্য, স্পিকারের অনুমতি নেওয়া হয়নি, যা বেআইনি। সেই কারণেই স্পিকার বিমান বন্দোপাধ্যায় ইডি ও সিবিআইকে চিঠি লিখে তলব করেন। কেন বিধানসভাকে এড়িয়ে এই ধরণের পদক্ষেপ তারা করল, তা জানতেই ৪ অক্টোবর তলব করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর ডেকে পাঠানো হয়েছিল তাঁদের। তারা না এসে ওই দিন বিধানসভার সচিবালয়কে একটি চিঠি দেয়। সেই উত্তরে সন্তুষ্ট হননি অধ্যক্ষ। তাই ফের তাদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল।

৪ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২ টা নাগাদ ইডি ও দুপুর ২ টো নাগাদ সিবিআই -এর প্রতিনিধি বিধানসভার সচিবালয়ে যান। ইডির তরফ থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। সেই চিঠিও সচিবালয়ের তরফে গ্রহণও করা হয়। কিন্তু পরে যখন সিবিআই আধিকারিকরা সেখানে যান, তখন চিঠি নিতে সচিবালয়ের তরফে আপত্তি জানানো হয়। বলা হয়, অধ্যক্ষের অফিসে গিয়েই চিঠি জমা দিতে হবে। এরপর অধ্যক্ষের দফতরে গিয়ে চিঠি দেন সিবিআই আধিকারিকরা। এর প্রেক্ষিতেই বিধানসভার ভূমিকায় বেশ অসন্তুোষ প্রকাশ করে সিবিআই ও ইডি। এভাবে একটি স্বতন্ত্র তদন্তকারী সংস্থাকে ডেকে পাঠানোর এক্তিয়ার বিধানসভার অধ্যক্ষের আছে কি না, সেই প্রশ্নই তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

আরও পড়ুন : CBI and ED on Narada Case: অধ্যক্ষের তলব করার এক্তিয়ার নেই! আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে ইডি