CBI and ED on Narada Case: অধ্যক্ষের তলব করার এক্তিয়ার নেই! আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে ইডি
CBI and ED on Narada Case: আগেও চিঠি দিয়েছিল সিবিআই ও ইডি। তাতে সন্তুষ্ট না হওয়ায় ফের তলব করা হয় দুই সংস্থাকে।
কলকাতা: ফের একবার অধ্যক্ষের তলব এড়াল কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই (CBI) ও ইডি (ED)। আগেই তারা জানিয়েছিল যে, কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের এ ভাবে তলব করার এক্তিয়ার নেই অধ্যক্ষের। চিঠি দিয়েই এ কথা জানিয়েছিল তারা। এবার আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে ইডি। আগে দেওয়া চিঠিতে সন্তুষ্ট হননি বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই ফের তলব করেছিলেন তিনি। কিন্তু এ দিনও চিঠি দিয়েই দায় সারল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) ও সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (CBI)। বিধানসভার সচিবালয়ে আজ চিঠি নিয়ে হাজির হন তাঁরা। ইডির চিঠি নেওয়া হলেও সিবিআই-এর চিঠি গ্রহণ করা হয়নি বলে সূত্রের খবর।
নারদ-কাণ্ডে সিবিআই ও ইডি চার্জশিট দিয়েছিল দুই মন্ত্রী সহ ৩ বিধায়ককে। চার্জশিটে ছিল ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্রের নাম। এ ক্ষেত্রে বিধানসভার সচিবালয়ের বক্তব্য, স্পিকারের অনুমতি নেওয়া হয়নি, যা বেআইনি। সেই কারণেই স্পিকার বিমান বন্দোপাধ্যায় ইডি ও সিবিআইকে চিঠি লিখে তলব করেন। কেন বিধানসভাকে এড়িয়ে এই ধরণের পদক্ষেপ তারা করল, তা জানতেই তলব করা হয়। আজ দ্বিতীয়বারের জন্য তলব করা হয়েছিল তাদের। এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর ডেকে পাঠানো হয়। তারা না এসে ওই দিন বিধানসভার সচিবালয়কে একটি চিঠি দেয়। সেই উত্তরে সন্তুষ্ট হননি অধ্যক্ষ। তাই ফের আজ তাদের ডেকে পাঠানো হয়।
আজ দুপুর সাড়ে ১২ টা নাগাদ ইডি ও দুপুর ২ টো নাগাদ সিবিআই -এর প্রতিনিধি বিধানসভার সচিবালয়ে যান। ইডির তরফ থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। সেই চিঠিও সচিবালয়ের তরফে গ্রহণও করা হয়। কিন্তু পরে যখন সিবিআই আধিকারিকরা সেখানে যান, তখন চিঠি নিতে সচিবালয়ের তরফে আপত্তি জানানো হয়। বলা হয়, অধ্যক্ষের অফিসে গিয়েই চিঠি জমা দিতে হবে। এরপর অধ্যক্ষের দফতরে গিয়ে চিঠি দেন সিবিআই আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই এই সিবিআই-এর এই সংক্রান্ত একটি মামলা চলছে হাইকোর্টে। সূত্রের খবর, এবার ইডির তরফেও মামলা করা হবে। অধ্যক্ষের এক্তিয়ার আছে কি না, সেই প্রশ্নই তুলতে চায় ইডি।
বিধানসভার তিন সদস্য সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এবং মদন মিত্রের বিরুদ্ধে ইডি চার্জশিট পেশ করেছে। এরপর ইডি-র বিশেষ আদালত তাঁদের নামে সমনও জারি করে। সেই সমন স্পিকারের মাধ্যমে অভিযুক্তদের কাছে পৌঁছতে পাঠানো হয় বিধানসভায়। কিন্তু বিধানসভা কর্তৃপক্ষ তা পাঠাতে অস্বীকার করেন। তা থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। বিধানসভার স্পিকারের যুক্তি, প্রিভেনশন অফ কোরাপশন আইন ১৯ (১) অনুসারে বিধায়কের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করতে গেলে বিধানসভার স্পিকারের অনুমোদন নিতে হবে। কিন্তু সেটা নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: পুজোর মুখে বড় স্বস্তি শুভেন্দুর, ত্রিপল-চুরি মামলার তদন্তে আপাতত স্থগিতাদেশ