Manmohan Singh and Pranab Mukherjee: দু’জনেই দু’জনের ‘বস’, কেমন ছিল প্রণব-মনমোহনের সম্পর্ক?

Manmohan Singh and Pranab Mukherjee: কাট টু ২০০৪। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ কেন্দ্রে সরকার গঠন করেছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনমোহন সিংয়ের নাম ঘোষণা করেছেন সনিয়া গান্ধী। আর প্রতিরক্ষামন্ত্রী হন প্রণব মুখোপাধ্যায়। পদের দিক থেকে এবার প্রণববাবুর 'বস' হলেন মনমোহন সিং।

Manmohan Singh and Pranab Mukherjee: দু'জনেই দু'জনের 'বস', কেমন ছিল প্রণব-মনমোহনের সম্পর্ক?
প্রণব মুখোপাধ্যায় ও মনমোহন সিং
Follow Us:
| Updated on: Dec 27, 2024 | 5:26 AM

নয়াদিল্লি: একজন পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ। জাতীয় রাজনীতির আঙিনায় অবাধ বিচরণ। অন্যজনের রাজনীতির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ছিল না। আচমকা এসে পড়েন রাজনীতির আঙিনায়। দু’জনেই আবার একে অপরের অধীনে কাজ করেছেন। কেমন সম্পর্ক ছিল প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং মনমোহন সিংয়ের?

কংগ্রেসের জাতীয় রাজনীতিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। ১৯৮২ সালে তখন তিনি কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রী। এদিকে, অর্থনীতির অধ্যাপক থেকে ক্রমশ দিল্লির অলিন্দে নাম ছড়িয়েছে মনমোহন সিংয়ের। নানা দফতরে কাজও করেছেন। দক্ষতার সঙ্গে। তারপরই ১৯৮২ সালে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার গর্ভনর নিযুক্ত হন মনমোহন। প্রণব মুখোপাধ্যায় তখন তাঁর ‘বস’। ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর পদে ছিলেন মনমোহন।

কাট টু ২০০৪। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ কেন্দ্রে সরকার গঠন করেছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনমোহন সিংয়ের নাম ঘোষণা করেছেন সনিয়া গান্ধী। আর প্রতিরক্ষামন্ত্রী হন প্রণব মুখোপাধ্যায়। পদের দিক থেকে এবার প্রণববাবুর ‘বস’ হলেন মনমোহন সিং। ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন প্রণববাবু। ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব পান কংগ্রেসের এই পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ। ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত আবার অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব পান প্রণববাবু।২০১২ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী করা হয় প্রণব মুখোপাধ্যায়কে। প্রত্যক্ষ রাজনীতির ময়দান থেকে বিদায় নিতে হয় তাঁকে। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, একসময় প্রণববাবু যখন অর্থমন্ত্রক সামলাচ্ছিলেন, তখন RBI গভর্নর ছিলেন মনমোহন সিং। আর প্রণববাবু যখন অর্থমন্ত্রক ছেড়ে যাচ্ছেন, তখন তাঁর ‘বস’ মনমোহন সিং।

এই খবরটিও পড়ুন

মনমোহন ও প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মতানৈক্য-

১৯৮৪ সালে প্রণববাবু অনাবাসী ভারতীয়দের (NRI) জন্য শেয়ার বাজারের দরজা খুলে দিয়েছিলেন। বিনিয়োগে NRI আইনকে শিথিল করেছিলেন। যা নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন আরবিআইয়ের তৎকালীন গভর্নর মনমোহন। যদিও RBI-র আপত্তিকে মান্যতা দেয়নি কেন্দ্র।

তার আগে আরও একবার প্রণববাবু ও মনমোহন সিংয়ের মধ্যে মতপার্থক্য হয়েছিল। ১৯৮৩ সালে বিদেশি একটি রুগ্ন ব্যাঙ্ক দ্য ব্যাঙ্ক অব ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ইন্টারন্যাশনালকে মুম্বইয়ে (তৎকালী বম্বে) শাখা খোলার অনুমতি দেয় কেন্দ্র। যার বিরোধিতা করেন মনমোহন সিং। তবে তাঁর আপত্তি ধোপে টেকেনি। ব্যাঙ্কের শাখা খোলার অনুমতি দিতে বলা হয় আরবিআইকে। যা নিয়ে মর্মাহত হন মনমোহন। প্রণব মুখোপাধ্যায় ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান। শেষমেশ পিছু হঠে সরকার। সংকট কাটে।

ব্যক্তিগতস্তরে কেমন ছিল তাঁদের সম্পর্ক?

একবার মনমোহন সিং বলেছিলেন, “২০০৪ সালে আমাকে প্রধানমন্ত্রী করায় তাঁর হতাশ হওয়ার সবরকম কারণ ছিল। কিন্তু, তিনি জানতেন, এই সিদ্ধান্তে আমার কোনও হাত নেই। তিনি আমায় শ্রদ্ধা করেন। আমাদের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক। আজীবন তা থাকবে। ”