Election Commission of India: চব্বিশের নির্বাচনের নজরকাড়া তথ্য দিল কমিশন, রয়েছে তমলুকও
Election Commission of India: ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যা ছিল ৯৭ কোটি ৯৭ লক্ষ। ২০১৯ সালের চেয়ে যা ৭.৪৩ শতাংশ বেশি। পাঁচ বছর আগে নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যা ছিল ৯১ কোটি ১৯ লক্ষ। চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে ভোট দেন ৬৪ কোটি ৬৪ লক্ষ ভোটার। সেখানে ২০১৯ সালে ভোট দিয়েছিলেন ৬১ কোটি ৪০ লক্ষ ভোটার।
নয়াদিল্লি: বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ। আর সেই বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন হয় প্রায় দেড়মাস ধরে। দেশের ৫৪৩ জন সাংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ হয় সাত দফায়। হাজার হাজার প্রার্থী, কয়েক হাজার ভোটকেন্দ্র। ভারতে গণতন্ত্রের এই উৎসবের একাধিক তথ্য এবার সামনে আনল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। সেইসব তথ্যের মধ্যে জায়গা পেয়েছে বাংলার তমলুক লোকসভা কেন্দ্রও।
২০২৪ সালে ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় ভোট গ্রহণ হয়। আর শেষ দফার ভোট হয় ১ জুন। ফলাফল ঘোষণা হয় ৪ জুন। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, গবেষকদের কাছে লাগবে এই তথ্যগুলি। নির্বাচনী পদ্ধতির উপর মানুষের আস্থা আরও বাড়ছে। নির্বাচনে স্বচ্ছতার দিকও তুলে ধরা যাবে।
দেখে নেওয়া যাক, লোকসভা নির্বাচনের একাধিক তথ্য-
এই খবরটিও পড়ুন
২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যা ছিল ৯৭ কোটি ৯৭ লক্ষ। ২০১৯ সালের চেয়ে যা ৭.৪৩ শতাংশ বেশি। পাঁচ বছর আগে নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যা ছিল ৯১ কোটি ১৯ লক্ষ। চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে ভোট দেন ৬৪ কোটি ৬৪ লক্ষ ভোটার। সেখানে ২০১৯ সালে ভোট দিয়েছিলেন ৬১ কোটি ৪০ লক্ষ ভোটার। ২০২৪ সালে ইভিএমে ভোট দিয়েছিলেন ৬৪ কোটি ২১ লক্ষ ভোটার। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩২ কোটি ৯৩ লক্ষ। মহিলা ভোটার ৩১ কোটি ২৭ লক্ষ। আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ছিলেন ১৩ হাজার ৫৮ জন। ৪২ লক্ষ ৮১ হাজার জন ব্যালটে ভোট দেন।
অসমের ধুবরী লোকসভা কেন্দ্রে প্রদত্ত ভোটের হার সবচেয়ে বেশি। এই কেন্দ্রে ৯২.৩ শতাংশ ভোট পড়েছিল। অন্যদিকে, ভোটের হার সবচেয়ে কম জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে। এই কেন্দ্রে ৩৮.৭ শতাংশ ভোট পড়ে। পাঁচ বছর আগে এই শ্রীনগর কেন্দ্রেই ভোট পড়েছিল মাত্র ১৪.৪ শতাংশ। ৫০ শতাংশের নিচে ভোট পড়েছে দেশের ১১টি লোকসভা কেন্দ্রে। NOTA-য় ভোট পড়েছে ৬৩ লক্ষ ৭১ হাজার।
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ১০ লক্ষ ৫২ হাজার ৬৬৪টি। ২০১৯ সালে যা ছিল ১০ লক্ষ ৩৭ হাজার ৮৪৮টি। ৪০টি ভোটকেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণ হয়। পাঁচবছর আগে ৫৪০টি ভোটকেন্দ্রে পুনরায় ভোট হয়েছিল। ভোটকেন্দ্র প্রতি গড়ে ৯৩১ জন ভোটার ছিলেন। সবচেয়ে বেশি ভোটকেন্দ্র ছিল উত্তর প্রদেশে। এই রাজ্যে ভোটকেন্দ্র ছিল ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৬৯টি।
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে ১২ হাজার ৪৫৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। মনোনয়ন প্রত্যাহার ও বাতিলের পর সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ৮ হাজার ৩৬০ জন। ২০১৯ সালে ১১ হাজার ৬৯২ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। মনোনয়ন প্রত্যাহার ও বাতিলের পর সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৮ হাজার ৫৪ জন। চব্বিশে একটি কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী মনোনয়ন জমা পড়ে তেলঙ্গানার মালকাজগিরিতে। এই কেন্দ্রে ১১৪ জন মনোনয়ন জমা দেন।
চব্বিশের নির্বাচনে নথিভুক্ত ৯৭ কোটি ৯৭ লক্ষ ভোটারের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা ছিল ৪৭ কোটি ৬৩ লক্ষ। ২০১৯ সালে যা ছিল ৪৩ কোটি ৮৫ লক্ষ। মহিলাদের ভোটহারের হারও এবার নজর কেড়েছে। ২০১৯ সালের মতো এবার মহিলাদের ভোটদানের হার পুরুষদের ভোটদানের হারের চেয়ে বেশি। মহিলাদের ভোটদানের হার যেখানে ৬৫.৭৮ শতাংশ, সেখানে পুরুষদের ভোটদানের হার ৬৫.৫৫ শতাংশ। অসমের ধুবরী কেন্দ্রে মহিলাদের ভোটদানের হার ৯২.১৭ শতাংশ। তারপরই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তমলুক লোকসভা কেন্দ্র। এখানে মহিলাদের ভোটদানের হার ৮৭.৫৭ শতাংশ। এই কেন্দ্রে বিজেপির টিকিটে জিতেছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
চব্বিশের নির্বাচনে মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৮০০। পাঁচ বছর আগে যা ছিল ৭২৬। সবচেয়ে বেশি মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ছিল মহারাষ্ট্রে। সেখানে ১১১ জন মহিলা প্রার্থী হয়েছিলেন। তারপর ছিল উত্তর প্রদেশ (৮০) এবং তামিলনাড়ু (৭৭)। ১৫২টি কেন্দ্রে কোনও মহিলা প্রার্থী ছিলেন না।
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যাও নজর কেড়েছে। এ বছর লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ছিলেন ৪৮ হাজার ৩২৪ জন। পাঁচ বছর আগে যা ছিল ৩৯ হাজার ৭৫ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ২৭.০৯ শতাংশ ভোটদান করেন। পাঁচ বছর আগে যা ছিল ১৪.৬৪ শতাংশ।
৬টি জাতীয় দল মোট বৈধ ভোটের ৬৩.৩৫ শতাংশ পেয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে নির্দল প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৯২১। তার মধ্যে মাত্র ৭ জন জয়ী হন। ৩ হাজার ৯০৫ জন নির্দল প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। সব মিলিয়ে ৭ হাজার ১৯০ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। পাঁচ বছর আগে সেই সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৯২৩। একটিমাত্র আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন প্রার্থী। গুজরাটের সুরাটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন বিজেপির মুকেশ দালাল।