জেনারেল কামরার টিকিট কতক্ষণ বৈধ থাকে জানেন তো? নাহলে মাঝরাস্তায় বিপদে পড়তে হবে
Railway: ২০১৬ সালে জেনারেল টিকিট সংক্রান্ত নিয়ম তৈরি করেছে রেল। আসলে অনেক সময় দেখা যায় জেনারেল টিকিটে স্বল্প দূরত্ব যাত্রা করে আবার সেই টিকিট অন্য যাত্রীকে বিক্রি করা হচ্ছে।
রেল হল দেশের লাইফলাইন। রেলে যাতায়াত করলেও নিয়মকানুন জানেন না অনেকেই। এই কারণে অনেক ক্ষেত্রে জরিমানাও করতে হয়। ঠিক যেমন সাধারণ বা জেনারেল কোচের টিকিটের ক্ষেত্রে রয়েছে কিছু নিয়ম। সেটা না জানলে রাস্তার মাঝেই বিপদে পড়তে হতে পারে। জেনারেল টিকিট নিয়ে যাত্রীরা ট্রেনের সেই সমস্ত বগিতেই ভ্রমণ করতে পারেন যেগুলিতে সংরক্ষণের বা রিজার্ভেশনের সুবিধা পাওয়া যায় না।
জেনারেল কোচের টিকিটের দাম সাধারণত কম হয়। ফার্স্ট এসি, সেকেন্ড এসি, থার্ড এসি এবং স্লিপার ক্লাসের তুলনায় কম হয় দাম। ফলে স্বল্প দূরত্বের পথ অতিক্রম করতে অনেকেই প্রায়শ জেনারেল কামরায় ভ্রমণ করে। তবে ট্রেনে সিট না পাওয়া গেলে অনেকে দূরের গন্তব্যের পাল্লার জন্যও এই কামরাই ব্যবহার করে। রেলের সাধারণ টিকিট নিয়ে একটি বিশেষ নিয়ম তৈরি করা হয়েছে। সেই নিয়ম অনুযায়ী আপনাকে ট্রেনের টিকিট নেওয়ার সময় দূরত্ব এবং সময়ের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
রেলের নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনও যাত্রী ১৯৯ কিলোমিটারের কম দূরত্বে যেতে চান তাহলে তিনি তিন ঘণ্টার বেশি আগে টিকিট কিনতে পারবেন না। অর্থাৎ আপনার যাত্রার সর্বোচ্চ ৩ ঘন্টা আগে ইস্যু করা টিকিটই বৈধ বলে বিবেচিত হবে। আপনাকে যদি ২০০ কিলোমিটার বা তার বেশি পথ যাত্রা করতে হয়, তবে আপনি তিন দিন আগেও টিকিট নিতে পারেন। রেলের টিকিট কাউন্টার ছাড়াও মোবাইল অ্যাপ UTS-এও বুক করা যাবে জেনারেল কামরার টিকিট।
২০১৬ সালে জেনারেল টিকিট সংক্রান্ত নিয়ম তৈরি করেছে রেল। আসলে অনেক সময় দেখা যায় জেনারেল টিকিটে স্বল্প দূরত্ব যাত্রা করে আবার সেই টিকিট অন্য যাত্রীকে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে রেলের কোষাগারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাই অল্প দূরত্বের জন্য টিকিট কিনলে তা তিন ঘন্টার বেশি পুরনো হলেই অবৈধ হয়ে যাবে। আপনাকে টিকিটবিহীন যাত্রী হিসেবে গণ্য করা হবে এবং জরিমানা ধার্য করা হবে।