Suvendu Adhikari: পুজোর মুখে বড় স্বস্তি শুভেন্দুর, ত্রিপল-চুরি মামলার তদন্তে আপাতত স্থগিতাদেশ
Calcutta High Court: একই সঙ্গে এই মামলায় রাজ্যকে হলফনামা জমা দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা: হাইকোর্টে স্বস্তি শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। ত্রিপল চুরি মামলায় সব ধরনের তদন্ত প্রক্রিয়ার উপর সোমবার স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। পুজোর ছুটির ছ’ সপ্তাহ পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। একই সঙ্গে এই মামলায় রাজ্যকে হলফনামা জমা দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুজোর ছুটির পর ফের মামলার শুনানি হবে বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে।
কাঁথি পুরসভার গোডাউন থেকে লক্ষাধিক টাকার ত্রাণের ত্রিপল লুঠের অভিযোগ ওঠে চলতি বছরের জুন মাসে। সেই ঘটনায় কাঁথি থানায় শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর নামে এফআইআর দায়ের হয়। অভিযোগ ওঠে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে কাঁথি পুরসভার পুরনো বিল্ডিং ডরমেটরি মাঠ সংলগ্ন পুর-গোডাউন থেকে ত্রিপল বার করা হয়েছে। আর তা শুভেন্দু অধিকারীর লোকজন করেছেন বলে অভিযোগ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কাঁথি পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য-সহ পুর প্রশাসক সিদ্ধার্থ মাইতি। শুভেন্দু অধিকারী প্রভাব খাটিয়ে এই ধরনের ঘটনা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। পুর প্রশাসক মণ্ডলীর দুই সদস্য হাবিবুর রহমান ও রত্নদীপ মান্না এবং কাঁথি শহর তৃণমূল কংগ্রেস সম্পাদক বিশ্বজিৎ মাইতি, কাঁথি শহর যুব তৃণমূল নেতৃত্ব সুরজিৎ নায়ক গোডাউনের দায়িত্বে থাকা পুরসভার কর্মচারী হিমাংশু মান্নাকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করেন বলে খবর। এরপরই কাঁথি থানায় এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়। ঘটনা গড়ায় আদালত পর্যন্ত।
শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, কাঁথি পুরসভার যে সদস্য রত্নদীপ মান্না অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এফআইআর-এ চুরির অভিযোগ নেই। চুরি করতে পারে বলে অভিযোগ। শুভেন্দুর সঙ্গে পুরসভার কোনও সম্পর্কও নেই। এমনকী সৌমেন্দু তৃণমূল ছেড়ে দিয়েছেন বলে তাঁকে পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্যই এই অভিযোগ বলে দাবি করেন তিনি।
শুভেন্দু, সৌমেন্দু এই মামলার অন্তবর্তীকালীন স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে যান। এরপর গত অগস্টে শুভেন্দু অধিকারী আলাদা করে তাঁর বিরুদ্ধে চলা চারটি মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। শুভেন্দুর বক্তব্য ছিল, হয় এই সমস্ত মামলা থেকে তাঁকে অব্যহতি দেওয়া হোক। কিংবা সমস্ত মামলার তদন্তভার নিক সিবিআই।
শুভেন্দুর দাবি ছিল, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর মুকুল রায়ের বিরুদ্ধেও একের পর এক মামলার জাল বুনেছিল রাজ্য সরকার। একই ভাবে এখন তাঁর বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা সাজানো হচ্ছে। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই একের পর এক মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে তাঁকে।
ত্রিপল চুরি, সেচ দফতরে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি-সহ তাঁর প্রাক্তন ব্যক্তিগত রক্ষীর আত্মহত্যার মামলার মতো একাধিক মামলা চলছে শুভেন্দুর নামে। সেগুলিই প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
আরও পড়ুন: Post Poll Violence Case: ‘এতটা সিরিয়াস ইস্যুতে এত ক্যাজুয়াল অ্যাটিটিউড’, চরম ভৎর্সনার মুখে সিট