‘অনেক কষ্টে ছাড়িয়ে এনেছি…’, দাবি মমতার, বিজেপির প্রশ্ন, ‘ইউনূসের সঙ্গে কথা বলে?’
Fishermen: কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশে আটকে ছিলেন মৎস্যজীবীরা। রবিবার তাঁদের দেশে ফেরানো হয়েছে। সোমবার সাগরে পৌঁছনোর পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সাগরদ্বীপ: বাংলাদেশ থেকে ফেরা মৎস্যজীবীদের সঙ্গে সোমবার দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গঙ্গাসাগর পরিদর্শনে গিয়ে এদিন মঞ্চেও ডাকা হল সেই সব মৎস্যজীবীদের। তাঁদের কথা বলতে গিয়ে মমতা বললেন, ‘চোখে জল এসে যাওয়ার মতো ঘটনা।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, বাংলাদেশের জেলে মারধর করা হয়েছে ওই মৎস্যজীবীদের। তবে তাঁদের ফিরিয়ে আনার কৃতিত্ব প্রায় পুরোটাই নিয়েছেন মমতা। তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল।
প্রশ্ন হল, কেন্দ্র নাকি রাজ্য, কে ফেরাল মৎস্যজীবীদের? কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার আগেই জানিয়েছেন, প্রদানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিদেশ মন্ত্রকের চেষ্টায় ওই মৎস্যজীবীদের ফেরানো সম্ভব হয়েছে। তবে, মমতার দাবি, অনেক কষ্টে ফিরিয়ে এনেছেন তিনিই।
এদিন মঞ্চ থেকে মমতা জানান, আগে মৎস্যজীবীরা হারিয়ে গেলে, মারা গেলে, কেউ কোনও খবর রাখত না। এখন রাজ্য সরকার একটা আইডি কার্ড দিয়েছে। ফলে, কেউ মাছ ধরতে গিয়ে হারিয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ট্র্যাক করা সম্ভব হয়। ফলে, কে কোথায় আছে তা জানা যায়। আর সেভাবেই এই মৎস্যজীবীদের ট্র্যাক করা সম্ভব হয়েছিল।
মমতা আরও জানান, নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে জানা যায় বাংলাদেশের থানায় আটক করে রাখা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় রাজ্য প্রশাসনের তরফে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটা বলা উচিত নয়, তাও বলছি, মৎস্যজীবীরা যাতে না ফেরা পর্যন্ত অন্তত জেলে থাকতে পারেন, আইনের সাহায্যে সেই ব্যবস্থাও আমরাই করেছিলাম।”
যাঁদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে, তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা যাতে করার নির্দেশও দিয়েছেন মমতা। তিনি জানিয়েছেন, ভারত সরকারকে পুরো বিষয়টা জানানো হয়েছিল। তবে রাজ্যের তরফে বিভিন্ন সূত্রে খবর নেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, “বাংলাদেশের ট্রলার এসেছিল। আমরা যত্ন করে রেখেছিলাম। ওরা অসুস্থ ছিল চিকিৎসা করাই। বাংলার কোনও বদনাম না হয়, তার জন্য সাহায্য করেছি।”
মমতা এভাবে কৃতিত্ব দাবি করায় তীব্র প্রতিবাদ বিজেপির। বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল মমতার এই মন্তব্য সম্পর্কে বলেন, “এখান থেকে কে কথা বলল? নিশ্চয় রাজীব কুমার ইউনূস সরকারের সঙ্গে কথা বলেননি। বিদেশ মন্ত্রকই কথা বলেছে। এভাবে মিথ্যা কথা বলে নিজের কৃতিত্ব আদায় করছেন উনি।”