Recruitment Scam: যিনি প্রথম হন, তাঁর বদলে চাকরি পেলেন তালিকায় থাকা শেষ জন! অধ্যাপক নিয়োগেও ব্যাপক দুর্নীতি, সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
Recruitment Scam: অভিযোগকারী উত্তরবঙ্গ তফশিলি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত বর্মান একটি নথি তুলে ধরে দেখান, বাংলা বিভাগে নিয়োগের তালিকায় সর্বশেষ যে ব্যক্তি ছিলেন, তাঁকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। অথচ স্কোর অনুযায়ী, যিনি প্রথম ছিলেন, তাঁকে চাকরি দেওয়া হয়নি।
কোচবিহার: যোগ্যদের চাকরি পেয়েছেন অযোগ্যরা! আর চাকরির দাবিতে আজও রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন যোগ্যরা। এবার কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ। যোগ্যদের সরিয়ে চাকরি পেয়েছে অযোগ্যরা। বিশেষজ্ঞ তালিকায় প্রথমকে সরাতে নম্বর নিয়ে কারচুপি করা হয়েছে। চাকরি পেয়েছেন তালিকায় শেষ দিকে থাকা প্রার্থী। বাংলা ও জুয়োলজি বিভাগে দুই সহকারি অধ্যাপকের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। TV9 বাংলার হাতে এল চাঞ্চল্যকর নথি।
অভিযোগকারী উত্তরবঙ্গ তফশিলি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত বর্মান একটি নথি তুলে ধরে দেখান, বাংলা বিভাগে নিয়োগের তালিকায় সর্বশেষ যে ব্যক্তি ছিলেন, তাঁকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। অথচ স্কোর অনুযায়ী, যিনি প্রথম ছিলেন, তাঁকে চাকরি দেওয়া হয়নি। সহকারি অধ্যাপকের পদে অভিজিৎ বর্মনের বদলে চাকরি পেয়েছেন কল্পনা! একইভাবে সুতপা সান্যালের চাকরি পেয়েছেন হাদিদা ইয়াসমিন! আর তাঁদের চাকরি পাওয়াতে অর্থাৎ নম্বর বাড়াতে কীভাবে তালিকাতেই নম্বর কাটাকুটি করা হয়েছে তা স্পষ্ট। সেই তালিকা এসেছে TV9 বাংলার হাতে।
এই নিয়োগের সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন অভিযোগকারী। ইতিমধ্যেই বিষয়টি শিক্ষা দফতর ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য নিখিলচন্দ্র রায়। বিশেষজ্ঞ কমিটির তালিকায় বাংলা বিভাগের প্রথমে নাম থাকা অভিজিৎ বর্মন পেয়েছিলেন ৬৫.৩০। তালিকায় শেষ দিকে নাম ছিল কল্পনা রায়ের। তিনি পেয়েছিলেন ৪৮.৬৫। তালিকায় দেখা যাচ্ছে, তা কেটে করে দেওয়া হয় ৬৩.৬৫। অভিজিৎ বর্মনের নম্বর কেটে কমিয়ে করে দেওয়া হয় ৬১.৩০। নিখিলচন্দ্র রায়ের অভিযোগ, এ সবই দুর্নীতি হয়েছে প্রাক্তন উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়ের জমানায়।
অভিযুক্তদের প্রতিক্রিয়া জানতে বারবার TV9 বাংলার তরফে তাঁদের একাধিকবার ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা কোনও উত্তর দিতে চাননি। যিনি নিশানায়, সেই প্রাক্তন উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “যদি হয়েও থাকে, যদি কোনও এক্সপার্ট করেও থাকেন.. তাহলে নিশ্চয়ই কেটে নিয়ে ইনিসিয়াল করেছিলেন। আমার তো সম্পূর্ণটা মনে থাকার কথা নয়, মনেও নেই। যদি নিশ্চিত বলতে পারি, যে প্যানেল তৈরি হয়েছিল, সেখানে ১,২,৩ হয়েছিল। রাজ্যপালের নমিনিতে যাঁরা যাঁরা এক্সপার্ট ছিলেন প্রত্যেক বিষয়ের তাঁরা সহমত পোষণ করে সই করে তবেই উপাচার্যের কাছে পাছিয়েছিলেন। এটুকুই উপাচার্যের ভূমিকা। উপাচার্য কখনই সিলেকশন কমিটিতে ছিলেন না।”