AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

China Zoo: খাঁচাবন্দি ‘বিপজ্জনক মানুষ’, দেখতে আসছে বাঘ-সিংহ, এ কেমন চিড়িয়াখানা! দেখুন ভিডিয়ো

চিনের এই অনন্য চিড়িয়াখানায় মানুষ খাঁচায় বন্দি, প্রাণীরা মুক্তভাবে বিচরণ করে। দেখুন ভিডিয়ো

China Zoo: খাঁচাবন্দি 'বিপজ্জনক মানুষ', দেখতে আসছে বাঘ-সিংহ, এ কেমন চিড়িয়াখানা! দেখুন ভিডিয়ো
মানুষ খাঁচায় বন্দি, প্রাণীরা মুক্ত
| Edited By: | Updated on: Aug 24, 2022 | 9:20 AM
Share

বেজিং: বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তেই শিশু থেকে বুড়ো – সকলের কাছেই চিড়িয়াখানর অনন্য আকর্ষণ আছে। তবে, বাঘ-সিংহ বা অন্যান্য বন্য প্রাণীদের কি খাঁচায় বন্দী করে রাখাটা উচিত? তাদের স্বাভাবিক প্রাকৃতিক আবাস বনভূমি। সেখানে মুক্তভাবে বিচরণ করাটাই তাদের ধর্ম। সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে এসে অনন্ত বন্দিজীবনে ঠেলে দেওয়ার নৈতিকতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। বহু পশুপ্রেমী সংগঠন চিড়িয়াখানার ধারণার বিরোধী। কিন্তু, যদি পশু-পাখিরা মুক্ত অবস্থায় ঘুরে বেড়ায়, আর মানুষ থাকে খাঁচায়? এরকমই অনন্য এক চিড়িয়াখানা রয়েছে চিনে। এখানে বন্যপ্রাণীদের নয়, মানুষকেই খাঁচায় বন্দি করা হয়।

অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে? খাঁচায় বন্দি হওয়ার জন্য অর্থ প্রদান করাটা মনেই হতে পারে অযৌক্তিক। তবে চিনের লেহে লেদু বন্যপ্রাণী চিড়িয়াখানায় সত্যি সত্যি স্থান অদলবদল করে থাকে মানুষ এবং বন্যপ্রাণ। দর্শনার্থীরা থাকেন খাঁচাওয়ালা গাড়িতে বন্দি। আর অরণ্যের মধ্যে মুক্তভাবে বিচরণ করে বাঘ-সিংহ-ভালুকের মতো হিংস্র প্রাণীরা। চিড়িয়াখানাটি চিনের চংকিং শহরে অবস্থিত। কর্তৃপক্ষের দাবি, এখানে বন্যেপ্রাণীদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে দেখার সুযোগ আছে। তবে, যথেষ্ট নিরাপত্তাও থাকে। কেউ যদি চান পার্ক থেকে বেরিয়ে যেতে, সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়াও হয়।

বন্যপ্রাণীদের আকৃষ্ট করার জন্য দর্শনার্থীদের খাঁচার গায়ে কাঁচা মাংসের বড় বড় খণ্ড বেঁধে দেওয়া হয়। খাঁচার উপরের দিকে ছোট ফাঁকও থাকে, যেখান দিয়ে দর্শনার্থীরাও পশুদের খাবার দিতে পারেন। সেই খাবারের লোভেই, পশুরা খাঁচার কাছে আসে। কখনও কখনও খাঁচার উপরেও উঠে পড়ে। সম্প্রতি তানসু ইয়েন নামে এক ব্যক্তি টুইটারে এই চিড়িয়াখানর একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, “এটি একটি মানব চিড়িয়াখানা যেখানে প্রাণীরা খাঁচায় থাকা বিপজ্জনক মানুষকে দেখতে পারে।” বলাই বাহুল্য ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

খাবারের লোভে খাঁচার উপরেও উঠে পড়ে পশুরা

তবে নেটিজেনদের মধ্যে এই ভিডিয়ো মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে৷ একাংশ বলেছেন, “সব চিড়িয়াখানাই এরকম হওয়া উচিত। প্রাণীদের কেন খাঁচায় বন্দি করা হবে?” আবার অনেকেই বলেছেন, “এটি সাধারণ চিড়িয়াখানা থেকে মোটেই আলাদা নয়। এটি শুধুমাত্র একটি বড় চিড়িয়াখানা। জেলখানাটি বড় হলেও, সেটি জেলখানাই।” প্রসঙ্গত ২০১৫ সালে এই অভিনব চিড়িয়াখানাটি স্থাপিত হয়েছিল। নেটিজেনরা যাই বলুন, প্রথম থেকেই এই চিড়িয়াখানা শুধুমাত্র স্থানীয়দেরই নয়, বিদেশি পর্যটকদের কাছেও দারুণ আকর্ষণীয়।