ওয়াশিংটন: তালিবানের দখলে আফগানিস্তান। প্রকাশ্যে তালিব-শক্তি যতই নারীদের নিয়ে উদারতার কথা বলুক না কেন, সে দেশে আদৌ মেয়েরা নিরাপদ কি না তা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ রয়েছে। এরই মধ্যে আফগানি মহিলাদের নিয়ে নিজের উদ্বেগের কথা প্রকাশ্যে জানালেন নোবেল জয়ী মালালা ইউসুফজাই।
নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মালালা ইউসুফজাই জানান, ২০ বছর আগে তালিবান যখন আফগানিস্তানের মসনদে ছিল, সব সময় চাইত শিক্ষার আলো থেকে মেয়েরা যাতে দূরে থাকে। তার জন্য যতটা নির্মম হওয়া যায়, ততটাই হতে কুন্ঠা বোধ করেনি এই অশুভ শক্তি। আবারও সেই তালিবান ক্ষমতায় ফিরেছে। আরও বহু নারীর মতই তিনিও তাই আফগানিস্তানে মেয়েদের অবস্থা নিয়ে চিন্তিত।
মালালার কথায়, “আমি কোনও রকম সাহায্য করতে পারছি না। কিন্তু ছোটবেলার কথা মনে পড়ছে। ২০০৭ সালে তালিবান যখন আমার জন্মস্থান সোয়াট উপত্যকা দখলে নিয়েছিল। মেয়েদের শিক্ষার অধিকারকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। আমি লম্বা শালের তলায় বই খাতা লুকিয়ে স্কুলে যেতাম। তারও পাঁচ বছর পর আমি তখন ১৫, তালিবান আমাকে খুন করতে চেয়েছিল। যেহেতু আমি আমার শিক্ষার অধিকার নিয়ে সরব হয়েছিলাম।” গত দুই দশকে বহু আফগান নারী শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয়েছেন। এখন যদি তাঁদের পিছনে হাঁটতে হয়, কী ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তা হবে ভেবেই উৎকন্ঠায় মালালা।
“In the last two decades, millions of Afghan women and girls received an education,” @Malala, the youngest-ever Nobel Peace Prize laureate, writes in a guest essay. “Now the future they were promised is dangerously close to slipping away.” https://t.co/X4lH1XxJk2
— New York Times Opinion (@nytopinion) August 18, 2021
“I could not even wear my school uniform because… they might throw acid on my face.” @Malala suffered firsthand under the Pakistani Taliban. “Those 2 years were some of the worst years of my life” she tells me. “It will take years & years for Afghan people to recover from this.” pic.twitter.com/h85zcsi0FT
— Christiane Amanpour (@camanpour) August 17, 2021
এর আগে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মালালা ইউসুফজাই জানিয়েছিলেন “এই মুহূর্তে মানবতার সঙ্কট চলছে। আমাদের সকলের উচিৎ সাহায্যের হাত এগিয়ে দেওয়া। আমরা এগিয়ে যাওয়ার কথা বলছি, আমরা উন্নয়নের বিশ্বের বাসিন্দা। আমরা লিঙ্গ বৈষম্য, সাম্য নিয়ে সরব হই। আমরা কখনওই মেনে নিতে পারি না একটা দেশ এ ভাবে পিছিয়ে পড়ছে। আমাদের কঠিন কোনও পদক্ষেপ করার এবার সময় এসেছে। নারী ও শিশুদের সুরক্ষা, সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা, একটা দেশে শান্তির প্রতিস্থাপনের জন্য আমাদের কিছু করা দরকার। আমার মনে হয় প্রতিটা দেশের একটা দায়িত্ব রয়েছে। এখন সেই ভূমিকা পালনে সময় এসেছে। দেশগুলির উচিৎ আফগান শরণার্থীদের জন্য তাদের সীমান্ত খুলে দেওয়া।” আরও পড়ুন: ১৮ মাসেই তুখড় ‘পারফরম্যান্স’ চারপেয়ে তদন্তকারীর! ৪৫ দিনে তিনটি অপরাধের পর্দাফাঁস