
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ হওয়াকে চিন্তার কারণ হিসাবে দেখছে ভারত। এমনটাই বিবৃতি দিয়ে জানাল বিদেশমন্ত্রক।
৩ দিন বাংলাদেশের রাজপথে বিক্ষোভ কর্মসূচি। দাবি উঠেছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার। তারপরে শনিবার উপদেষ্টা সমিতির জরুরি বৈঠক ডাকে মহম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। প্রায় পৌনে ৩ ঘণ্টার বৈঠক শেষে জানানো হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাকিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা সহ অনান্য যা যা বিষয়ে বিচার চলছে তা শেষ না হওয়া অবধি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ থাকবে আওয়ামী লীগের সবরকমের কার্যক্রম।
মঙ্গলবার সন্ধেবেলা, ভারত-পাকিস্তান টানাপোড়েনের আবহে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। সেখানেই তাঁকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রণধীর বলেন, “বাংলাদেশে “আওয়ামী লীগ ব্যান হওয়া চিন্তার বিষয়। গণতন্ত্রের সঠিক পদ্ধতিকে অগ্রাহ্য করে এই কাজ করা হয়েছে। ভারত বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত। আমরা আশা করব দ্রুত নিরপেক্ষ ভোট হবে বাংলাদেশে।”
অর্থাৎ বাংলাদেশে ইউনূস নেতৃত্বাধীন সরকার যে গণতন্ত্র বজায় রাখতে পারছে না তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র।
প্রসঙ্গত, ওই বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনের সংশোধনীও অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধনী অনুসারে ট্রাইব্যুনাল কোনও রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গ সংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকেও এবার থেকে শাস্তি দিতে পারবে।