World’s Youngest Mother: মাত্র ৫ বছরেই জন্ম দিয়েছেন পুত্র সন্তানের, পৃথিবীর কনিষ্ঠতম জননী কে জানেন?
World's Youngest Mother: মাত্র ৫ বছর বয়সেই ১৯৩৯ সালে সুস্থ সবল পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন লিনা মেডিনা। যা আজও বিস্ময় বলেই মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

আগেকার দিনে মহিলাদের অল্প বয়সে মা হওয়ার প্রবণতা নতুন কিছু নয়। ১৪ বছর ১৬ বছরে হয়তো প্রথম সন্তানের মা হতেন মহিলারা। নিদেন পক্ষে কম করে হলেও তা ১২-১৩ বছর। কিন্তু তাই বলে মাত্র ৫ বছরেই প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছে এমন শুনেছেন কখনও?
প্রসূতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেডিকেল সাইন্স অনুসারে একটি মেয়ের পিরিয়ডস শুরু হয়ে গেলেই সে অন্তঃসত্ত্বা হতে পারেন। তবে সাধারণত কোনও মেয়ের পিরিয়ডস শুরুই হয় ১০-১২ বছরে, তার আগে নয়। তাই ৫ বছর বয়সে মা হওয়ার খুব একটা খবর পাওয়া যায় না। কিন্তু এই বিরল ঘটনাই ঘটেছিল ১৯৩৯ সালে।
মাত্র ৫ বছর বয়সেই ১৯৩৯ সালে সুস্থ সবল পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন লিনা মেডিনা। যা আজও বিস্ময় বলেই মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
পেরুর ছোট্ট গ্রাম টিক্রাপোতে জন্ম লিনার। পাহাড়ের কোলে ৭,৪০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই ছোট্ট গ্রাম। হঠাৎই ফুলে যেতে শুরু করে পেট। তার সঙ্গে অসহ্য যন্ত্রণা। প্রাথমিক ভাবে টিউমার ভেবেছিল পরিবার থেকে চিকিৎসকরা। কিন্তু ওষুধ দিয়েও ব্যথা কমছিল না। অবশেষে পিকসোয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা জানান লিনা ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। লিনা যখন তাঁর প্রথম সন্তানকে জন্ম দেন, তখন ওঁর বয়স ৫ বছর ৭ মাস ২১ দিন।
কী ভাবে ঘটল এই ঘটনা?
জানা যায় মহিলাদের শরীরে বয়ঃসন্ধির সময়ে শরীরে যে ধরনের পরিবর্তন আসে, তা অনেক ছোট বয়সেই শুরু হয়ে যায় লিনার শরীরে। পরিণত হতে শুরু করে যৌনাঙ্গ। পাহাড়ি এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামে বাস লিনাদের, ভয় পেয়ে বাবা-মা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার জায়গায় ডেকে আনেন ওঝাকে। এই ঘটনার কয়েক দিন পরেই শরীরে শুরু হয় পরিবর্তন।

গর্ভধারণ করলেও তখনও লিনার পেলভিস একটি পূর্ণ শিশুকে ধারণ করার মতো ক্ষমতা সম্পন্ন ছিল না। তাই অস্ত্রোপচার করেই ডেলিভারি করা হয় শিশুর।
যদিও বিষয়টির ব্যাখা দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানান এতে খুব অবাক হওয়ার কিছু নেই। লিনা পিউবার্টি ছিল। পিউবার্টি অর্থাৎ যাঁদের ৮ বা ৯ বছর বয়সের আগেই যৌনাঙ্গ পরিণত হতে শুরু করে। পিউবার্টির ঘটনা স্বাভাবিক হলেও এত কম বয়সে মা হওয়ার ঘটনা আর জানা যায় না। সেই হিসাবে লিনা মেডিনাই হলেন পৃথিবীর কনিষ্ঠতম ‘মা’।
