Miracle Baby: রাখে হরি, মারে কে! ভূমিকম্প কেড়েছে মা-বাবাকে, ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে কেঁদে অস্তিত্ব জানাল ‘মিরাকেল বেবি’
Syria Earthquake: যে সময়ে ভূমিকম্প হয়, তখন ওই শিশুটির মায়ের প্রসব বেদনা শুরু হয়। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে যান তিনি, সেখানেই প্রসব করার পর মারা যান।
ইস্তানবুল: কথায় আছে, ‘রাখে হরি, মারে কে!’। জন্ম-মৃত্যু সবই ঈশ্বরের নিয়ন্ত্রণে। চলতি সপ্তাহের সোমবারই ভয়াবহ ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে ওঠে তুরস্ক (Turkey) ও সিরিয়া (Syria)। ৭.৮ মাত্রার এই ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর থেকেই আফটারশকে বারবার কেঁপে উঠছে দুই দেশ। ভূমিকম্পের জেরে মৃত্য়ুমিছিল নেমেছে দুই দেশে। মৃতের সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার ছুঁইছুঁই। এত মৃত্যুর মাঝেও আশার আলো দেখিয়ে জন্ম নিল প্রাণ। সিরিয়ায় ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপের নীচেই জন্ম নিয়েছে এক শিশু। যদিও পৃথিবীর আলো দেখার পরই অভিভাবকহারা হয় ওই নবজাতক। শিশুটির মা-বাবা কেউই বাঁচেনি ভূমিকম্পে। ধ্বংসস্তূপের নীচেই, যেখানে শিশুটির জন্ম হয়, তার পাশেই পড়েছিল তাঁর মা-বাবার মৃতদেহ।
জানা গিয়েছে, যে সময়ে ভূমিকম্প হয়, তখন ওই শিশুটির মায়ের প্রসব বেদনা শুরু হয়। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে যান তিনি, সেখানেই প্রসব করার পর মারা যান। ইতিমধ্যেই ওই ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে, উদ্ধারকারীরা নবজাতক শিশুকন্য়াটিকে উদ্ধার করে আনছেন। ধ্বংসস্তূপের বাইরে এসে প্রথম শ্বাস নেয় শিশুকন্যাটি। প্রচুর চেষ্টা করা হলেও, শিশুটির মা-বাবাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
One of the youngest survivors of the earthquake in Turkey. One baby that was rescued in Aleppo was born under the rubble (video) #Turkey #Turkiye #TurkeyEarthquake #earthquaketurkey #Syria #Syrie pic.twitter.com/ZdCorQ2vQo
— REPORT WAR (@troy_dalio) February 6, 2023
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার আফরিনে। সেখানের জেনদেরেস অঞ্চলে ভূমিকম্পের জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধাক্কা সামলিয়ে ওঠার পর থেকেই জোরকদমে উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও কয়েক হাজার মানুষ চাপা পড়ে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু ঘোর অন্ধকার, বৃষ্টি ও তুষারপাতের কারণে সেই উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
সোমবার ভোররাতে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয় তুরস্ক ও সিরিয়ায়। রিখটার স্কেলে প্রথম ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭.৮। এরপরে কয়েক মিনিট পরেই ৭.৭ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প হয়। উদ্ধারকাজ শুরু হওয়ার ঘণ্টাখানেক পরে তৃতীয়বারের জন্য ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক। এইবার ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.৭। বিগত এক দশকে এই ভূমিকম্পকেই সবথেকে ভয়াবহ ভূমিকম্প বলে মনে করা হচ্ছে। ভূমিকম্পের জেরে লক্ষাধিক ঘর-বাড়ি, হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে সাড়ে ৭ হাজার মানুষ।