Muhammad Yunus: ক্ষমতা ছাড়ার আগে বাংলাদেশের ‘হৃৎপিণ্ড’-কে চিন-দুবাইয়ের হাতে বিক্রি করে দেবেন ইউনূস?

Bangladesh: গত সপ্তাহেই মহম্মদ ইউনূস বলেন যে বাংলাদেশের অর্থনীতি বদলাতে হলে চট্টগ্রাম বন্দরই একমাত্র ভরসা। চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড, একে বাদ দিয়ে অর্থনীতির নতুন পথ খোলা সম্ভব নয়।

Muhammad Yunus: ক্ষমতা ছাড়ার আগে বাংলাদেশের হৃৎপিণ্ড-কে চিন-দুবাইয়ের হাতে বিক্রি করে দেবেন ইউনূস?
চট্টগ্রাম বন্দর বিক্রি করে দিচ্ছেন ইউনূস?Image Credit source: TV9 বাংলা

|

May 23, 2025 | 11:47 AM

ঢাকা: আবার অস্থির পরিস্থিতির মুখে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকার টালমাটাল। এর মধ্যেই এক বড় খবর। চট্টগ্রাম বন্দর নাকি বিক্রি করে দিতে চাইছেন মহম্মদ ইউনূস। তাঁর বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ করছে বাংলাদেশের একাংশ। কেন এই অভিযোগ।

গত সপ্তাহের ১৪ মে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে যান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিদর্শন করার পর তিনি বলেন যে বাংলাদেশের অর্থনীতি বদলাতে হলে চট্টগ্রাম বন্দরই একমাত্র ভরসা। ইউনূস বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড, একে বাদ দিয়ে অর্থনীতির নতুন পথ খোলা সম্ভব নয়। দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নিতে চট্টগ্রাম বন্দর বিশেষ ভূমিকা রাখবে। বন্দরটি সেরা হলে দেশের অর্থনীতিও সেরা হবে। যদি এই বন্দরকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়, তবে দেশের অর্থনীতি বিশাল হবে।”

চট্টগ্রাম বন্দরকে সত্যিকার বন্দরে পরিণত করার কাজ করার কথা বলেন ইউনূস। আর এখানেই লুকিয়ে আসল গল্প। শোনা যাচ্ছে, চট্টগ্রামের এই বন্দর বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দিতে চায় ইউনূস সরকার। চিন বা দুবাইয়ের কোনও সংস্থার হাতে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হতে পারে। জল্পনা রটেছে, ইতিমধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দরকে লিজ দেওয়ার কথাবার্তা এগিয়ে ফেলেছেন ইউনূস। ডিপি ওয়ার্ল্ড নামক এক সংস্থার নামও উঠে আসছে। শোনা যাচ্ছে, এই সংস্থাকেই চট্টগ্রাম বন্দর সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।  যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে এখনও ঘোষণা করা হয়নি।

ইউনূসের এই সিদ্ধান্তেই আপত্তি বাংলাদেশের একটা বড় অংশের মানুষের। তাদের দাবি, চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। চট্টগ্রাম বন্দর কৌশলগত সম্পদ, তা অন্য দেশের বা অন্য কোনও বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। এই নিয়ে চট্টগ্রাম সহ বাংলাদেশের একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল, মশাল মিছিলও বেরিয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, দেশের বন্দর লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে না অন্তর্বর্তী সরকার। একমাত্র নির্বাচিত সরকারই এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। তাছাড়া এই ডিপি ওয়ার্ল্ড-কে আমেরিকাও ভরসা করে ২০০৬ সালে তাদের টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব দেয়নি। সেখানে অন্তর্বর্তী সরকার কী বিবেচনা করে চট্টগ্রাম বন্দরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও লাভজনক নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার ভার তুলে দিতে চাইছে? এই নিয়েই চট্টগ্রাম সহ বাংলাদেশে চলছে টানাপোড়েন।