Sunita Williams: পৃথিবীতে এলে ক্যানসার হতে পারে সুনীতার?
Sunita Williams: পৃথিবীর বুকে যে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি থাকে, তা মহাকাশে গিয়ে শূন্য হয়ে যায়। ফলে মাটিতে পা টেকে না। উড়ে উড়েই তাদের সবকিছু করতে হয়, শরীরের উপরে নিয়ন্ত্রণ থাকে না। মাইক্রোগ্রাভিটি, রেডিয়েশন, আইসোলেশনের বিভিন্ন প্রভাব পড়ে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে।

ওয়াশিংটন: পরিকল্পনা ছিল এক। ঘটল আরেক ঘটনা। মহাকাশে গিয়ে আটকে পড়েছিলেন সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। ৮ দিনের সফর বেড়ে প্রায় ৩০০ দিনে পৌঁছেছে। যে বোয়িং স্টারশিপে করে পৃথিবীতে ফেরার কথা ছিল দুই মহাকাশচারীর, তার প্রপালশনে সমস্যা দেখা দেওয়ায় ওই মহাকাশযানে আর ফেরা হয়নি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে স্পেস-এক্সের পাঠানো ক্রিউ-১০ -এ চেপে পৃথিবীতে ফিরতে চলেছেন সুনীতা ও বুচ। কিন্তু পৃথিবীতে ফিরে কি তাঁরা খাপ খাইয়ে নিতে পারবেন?
মহাকাশ যাত্রা ভীষণই কষ্টকর। পৃথিবীর বুকে যে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি থাকে, তা মহাকাশে গিয়ে শূন্য হয়ে যায়। ফলে মাটিতে পা টেকে না। উড়ে উড়েই তাদের সবকিছু করতে হয়, শরীরের উপরে নিয়ন্ত্রণ থাকে না। মাইক্রোগ্রাভিটি, রেডিয়েশন, আইসোলেশনের বিভিন্ন প্রভাব পড়ে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে। আর সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর তো দীর্ঘ প্রায় ৩০০ দিন মহাকাশে ছিলেন। তাদের স্বাস্থ্যে তো আরওই ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়বে।
কী কী হতে পারে?
হাঁটাচলায় অসুবিধা-
মাইক্রোগ্রাভিটিতে শরীরের মাংস ও হাড় ক্ষয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে শিরদাঁড়া, পা ও পাঁজরের উপরে প্রভাব পড়ে। শিরদাঁড়া, কোমর ও পায়ের হাড়ে মিনারেল ক্ষয়ে যায়। এর ফলে পৃথিবীতে ফিরে মহাকাশচারীদের হাঁটা-চলা করতে খুবই কষ্ট হয়। শরীরের ভারসাম্য থাকে না। হাড় নরম হয়ে যাওয়ায়, সহজেই পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। হাড়ের ঘনত্বও কমে যাওয়ায়, পড়ে গেলেই হাড় ভেঙে যায়।
মানসিক স্বাস্থ্য-
দীর্ঘ সময় সকলের থেকে বিচ্ছিন্ন থাকায় মহাকাশচারীদের মধ্যে স্ট্রেস, অ্যানজাইটি, এমনকী ডিপ্রেশনও দেখা দিতে পারে। এই কারণেই মহাকাশচারীদের নিয়মিত পরিবারের সঙ্গে, সাইকোলজিস্টদের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়। পাশাপাশি সিনেমা দেখা, বই পড়তে বলা হয়। তাদের স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় মহাকাশে পাঠানোর আগে।
রক্ত কমে যাওয়া-
দীর্ঘদিন মহাকাশে থাকার ফলে মহাকাশচারীদের শরীরে রক্তের পরিমাণ কমে যেতে পারে। মহাকাশে যেহেতু মাধ্যাকর্ষণ শক্তি থাকে না। তাই হৃৎযন্ত্রও বেশি রক্ত পাম্প করে না। ফলে শরীরে রক্ত প্রবাহও পরিবর্তিত হতে পারে। রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। প্রভাব পড়ে দৃষ্টিশক্তিতে।
কসমিক রেডিয়েশন-
তবে মহাকাশচারীদের উপরে সবথেকে বেশি যে প্রভাব পড়ে, তা হল কসমিক বা মহাজাগতিক রেডিয়েশন। এতে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাদের যেকোনও সংক্রমণে সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। কেটে-ছড়ে গেলে, সেই ক্ষত সারতেও দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এছাড়া কার্ডিওভাসকুলার রোগ, এমনকী ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে।





