নিউ ইয়র্ক: গত বছর রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশন (UNGA) ভার্চুয়ালি হয়। কোনও রাষ্ট্রনেতাই উপস্থিত হয়ে বক্তব্য পেশ করেননি। তবে এ বার গত বছরের তুলনায় করোনা (Covid 19) পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। টিকাকরণও (Covid Vaccination) শুরু হয়ে গিয়েছে বিশ্বের প্রায় সব দেশে। তাই এ বার ফের রাষ্ট্রপুঞ্জে (UN) হাজির হয়েছেন রাষ্ট্রনেতারা। ৭৬ তম সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও (Narendra Modi)। ইতিমধ্যেই ওয়াশিংটনে বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক ও কোয়াড সম্মেলন সেরে নিউ ইয়র্কে (New York) পৌঁছে গিয়েছেন মোদী। আজ ভারতীয় সময় সন্ধে সাড়ে ৬ টায় তাঁর বক্তব্য শোনা যাবে।
নিউ ইয়র্কে বিমানবন্দরে নামার পর একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করেছেন মোদী। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন আজ রাষ্ট্রপুঞ্জে তাঁর বক্তব্য শোনা যাবে সন্ধে আড়ে ৬ টায়। এবার অধিবেশনের মূলত করোনা অতিমারি কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করা প্রয়োজন। পৃথিবী করোনা সারিয়ে উঠবে এই আশার বার্তাই দেবেন রাষ্ট্রনেতারা। সঙ্গে জলবায়ুর পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হবে। তবে এবারও অনেক রাষ্ট্র নেতাই ভার্চুয়ালি বক্তব্য পেশ করছেন। রাষ্ট্রপুঞ্জে সশরীরে হাজির থাকবেন ১০৯ জন ও ৬০ জন বক্তব্য রাখবেন ভার্চুয়ালি।
রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি আগেই জানিয়েছেন, অন্যান্য রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে মোদীর বক্তব্যেই থাকবে এবার বিশেষ নজর। তিরুমূর্তি বলেন, ‘মোদী সবসময়ই বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোকপাত করেন। বিশেষত সেই সব বিষয়, যা ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তিন দিনের সফরে আমেরিকা গিয়েছেন মোদী। ইতিমধ্যেই বাইডেনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক সেরেছেন হোয়াইট হাউসে। পরে কোয়াড অন্তর্ভক্ত দেশগুলির বৈঠকেও যোগ দিয়েছিলেন। আজ শনিবার তাঁর বক্তব্য শোনা যাবে রাষ্ট্রপুঞ্জের অধিবেশনে। এবার এই সভায় আলোচনার যে বিষয়বস্তু থাকবে, তার মধ্যে অবশ্যই জায়গা পাবে কোভিড অতিমারি। এ ছাড়া, বিশ্বের অন্যান্য ইস্যু, মানবাধিকার নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: PM Modi-Joe Biden Meet: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মজবুত করতে নমোর দাওয়াই ৫ ‘টি’, মুগ্ধ হয়ে শুনলেন বাইডেন
এই মুহূর্তে রাষ্ট্রপুঞ্জের অধিবেশনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য যে ভারতের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, সে কথাও উল্লেখ করেছেন তিরুমূর্তি। তিনি জানান, এ ভাবেই বিশ্বের মঞ্চে গুরুত্ব পাবে ভারতের ‘কন্ঠস্বর।’ জলবায়ু পরিবর্তন, টিকাকরণ, দারিদ্র্য দূরীকরণ, মহিলা ক্ষমতায়ন কিংবা সন্ত্রাস বিরোধিতার মতো বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবে ভারত।