Imran Khan at UNGA: পাকিস্তানের কপালে নাকি শুধুই জুটেছে বঞ্চনা! রাষ্ট্রপুঞ্জে তালিবানের হয়ে সওয়াল ইমরানের
Imran Khan Speech: রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনের আমেরিকার প্রতি ক্ষোভ উগরে দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, সাহায্য করেও শুধু বঞ্চনাই পেয়েছে পাকিস্তান।
রাষ্ট্রপুঞ্জ: আফগানিস্তানে (Afghanistan) নতু্ন করে তালিবান (Taliban) ক্ষমতায় আসার পর পাক মদতের বিষয়টা আরও প্রকট। গোটা বিশ্বের কাছে ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে পাকিস্তানের আসল চরিত্র। একদিকে যখন পাক মদত হয়ে উঠল কোয়াডের আলোচনার বিষয়বস্তু, অন্যদিকে তখন পাকিস্তানকে বঞ্চনার শিকার বলে উল্লেখ করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। আফগানিস্তানের পাশাপাশি আমেরিকা নাকি পাকিস্তানের জন্যই কিছুই করেনি, রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে (UNGA) এমনটাই দাবি করলেন ইমরান খান। কার্যত আমেরিকাকে ‘অকৃতজ্ঞ’ তকমা দিলেন তিনি। আমেরিকাকে সাহায্য করতে গিয়ে পাকিস্তানের কত কিছু হারাতে হয়েছে মনে করিয়ে দিলেন সে কথাও।
সশরীরে হাজির না হয়ে ভার্চু্য়ালি রাষ্ট্রপুঞ্জের অধিবেশনে বক্তব্য রেখেছেন ইমরান খান। শুক্রবার রাতে পাকিস্তানের তরফে আগে থেকে রেকর্ড করা সেই বক্তব্য চালানো হয়। জলবায়ু পরিবর্তন সহ একাধিক ইস্যুতে এ দিন কথা বলেছেন তিনি। তবে তাঁর বক্তব্যের বেশিরভাগ অংশ জুড়েই ছিল আমেরিকার প্রতি ক্ষোভ। আর অবশ্যই ভারতের প্রতি আক্রমাণাত্মক হতে ছাড়েননি তিনি। আরও একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হিন্দুত্ববাদী আখ্যা দেন ক্রিকেটার ছেড়ে রাজনীতিক হয়ে ওঠা ইমরান।
আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য যখন পাকিস্তানের দিকে আঙুল উঠছে তখন ইমরানের ব্যাখ্যা আমেরিকার আর ইউরোপের কিছু রাজনৈতিক নেতার জন্যই এই অবস্থা। তিনি সরাসরি বলেন, ‘আফগানিস্তান ছাড়া আর যে দেশ সবথেকে বেশি ভুক্তভোগী, সে হল পাকিস্তান।’ ইমরান খান উল্লেখ করেন, ৯/১১-র হামলার পর আমেরিকার সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের হাত মিলিয়েছিল আমেরিকা। কিন্তু সেই অভিযানে আমেরিকা যখন ড্রোন হামলা শুরু করল, তখন ৮০ হাজার পাকিস্তানির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। আমেরিকার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আজ যখন আমেরিকাকে যারা সাহায্য করেছে তাদের নিয়ে এত ভাবনাচিন্তা চলছে, তখন আমাদের কী হবে?’ তাঁর দাবি, প্রশংসার বদলে শুধু দোষ জটেছে পাকিস্তানের কপালে।
একইসঙ্গে এ দিন তালিবানের হয়ে সওয়াল করেছেন ইমরান খান। তাঁর দাবি, তালিবান নেতারা মানবাধিকারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আফগানিস্তানের মাটিতে সন্ত্রাস ঘাঁটি গাড়তে পারবে না বলেও নাকি দাবি করেছে তালিবরা।
তবে এ সবের পাশাপাশি কাশ্মীর সম্পর্কে শব্দ খরচ করতেও পিছপা হননি ইমরান খান। কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, এমন দাবি পাকিস্তানের নতুন নয়। এ দিন ফের একবার সে কথা মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি তিনি। কবে নয়া দিল্লি কাশ্মীর সমস্যার স্থায়ী সমাধান করবে, তা জানতে চান পাক প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে। বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার গিলানির কথাও এ দিন শোনা গেল ইমরানের মুখে। কয়েকদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে গিলানির। ইমরান খানের অভিযোগ, গিলানির দেহ জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও ঠিক কী ভাবে গিলানির দেহ সৎকার হয়েছে, সেই ছবি আগেই সামনে এনেছে কাশ্মীর পুলিশ।