Modi in Quad Summit: সবার চোখ এড়িয়ে সন্ত্রাসে মদত আর নয়! পাকিস্তানের ওপর কড়া নজর রাখার বার্তা কোয়াডের
Modi in White House: আফগানিস্তান প্রসঙ্গ উঠে এল মোদী-বাইডেনের আলোচনায়। তালিবান দখল করার পর আফগানিস্তান সন্ত্রাসের ঘাঁটি হয়ে উঠতে পারে বলে উল্লেখ করলেন মোদী।
ওয়াশিংটন: এর আগে ভার্চুয়াল বৈঠকে কথাবার্তা হয়েছে চার দেশের মধ্যে। তবে এবার প্রথম মুখোমুখি বৈঠকে বসল কোয়াড (QUAD) অন্তর্ভুক্ত চার দেশ। আর এমন একটা সময়ে এই বৈঠক হল, যার মাস খানেক আগেই আফগানিস্তানে (Afghanistan) পতন হয়েছে আসরাফ ঘানি সরকারের। নতুন করে মদনদে জাঁকিয়ে বসেছে তালিবান (Taliban)। আর তালিবানি আধিপত্য নিয়ে মাথাব্যাথা রয়েছে প্রতিবেশী ভারতের। সঙ্গে তো দোসর পাকিস্তান (Pakistan) রয়েছেই। তাই কোয়াড সম্মেলনে আফগানিস্তান ইস্যু যে সামনে আসবে, এমন জল্পনা ছিলই। সূত্রের খবর, শুক্রবার সেই বৈঠকে চার দেশের রাষ্ট্রনেতাই সহমত হয়েছেন যে, সন্ত্রাসবাদী (Terrorism) কার্যকলাপে মদত দেওয়ার কাজ করে থাকে পাকিস্তান (Pakistan)। তাই পাকিস্তানের দিকে আরও বেশি করে নজর দেওয়া উচিৎ।
এ দিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কোয়াড অন্তর্ভুক্ত চার দেশ আমেরিকা, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের প্রতিনিধিরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন (Scott Morrison) ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী যোশিহিদে সুগা(Yoshihide Suga)। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের পিছনে যে পাকিস্তানের হাত আছে, তা মেনে নিয়ে অন্যান্য দেশও। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের ওপর কড়া নজর রাখার বার্তাও দিয়েছেন রাষ্ট্রনেতারা।
শুক্রবার প্রথমে হোয়াইট হাউসে বাইডেনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক সারেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। পরে কোয়াড সম্মেলনে যোগ দেন তাঁরা। আর সেই বৈঠকে মোদী আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তালিবানি দখলে আসার পর আফগানিস্তান যে সন্ত্রাসের ঘাঁটি হয়ে উঠছে, সেই উদ্বেগের কথা জানান মোদী। এ কথা জানিয়ে বিদেশ সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রীংলা জানান, আফগানিস্তানে তালিবানি শাসন জারি হওয়ার ক্ষেত্রে যে পাকিস্তানের ভূমিকা আছে, সেই বিষয়টাতে গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা বলেছে সব দেশই। বিশেষত সন্ত্রাস ইস্যুরে পাকিস্তানের ওপর কড়া নজর রাখার কথা বলা হয়েছে।
বিদেশ সচিন আরও জানান, এবার থেকে পাকিস্তানের ওপর আরও বেশি করে নজর রাখবে কোয়াড, যাতে নজর এড়িয়ে সন্ত্রাসবাদী কাজে মদত দিতে না পারে ইসলামাবাদ। শুধু প্রতিবেশী দেশের ক্ষেত্রেই অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রেও যাতে সেই প্রভাব পড়তে না পারে, সে দিকেও নজর রাখা হবে বলে আশ্বস্ত করেছে কোয়াড।
আফগানিস্তানে ঘানি সরকারের অন্যতম ভরসা ছিল ভারত। গত কয়েক বছরে একের পর এক প্রজেক্টে ভারত টাকা ঢেলেছে আফগানিস্তানে। আর তালিবানের পিছনে পাকিস্তানের হাত ঠিক কতটা তা আবারও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে সাম্প্রতিক অতীতে। ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার টুইন টাওয়ার হামলার সময় পাকিস্তানের সঙ্গে আল-কায়েদার আঁতাতের কথা সবাই জানে। আর এবার তালিবান নতুন করে ক্ষমতায় আসার পর ফের তাদের আঙুলে নাচাতে চাইছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই।
আরও পড়ুন: Modi- Joe Biden Meet: ভারতেও নাকি বাইডেন আছে! মোদীর উত্তর শুনে হাসি থামাতে পারলেন না বাইডেন