AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Joe Biden on Bilateral Relation: ‘আমি ২০০৬ সালেই বলেছিলাম…’, বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে কাছাকাছি আসার বার্তা বাইডেনের

President Joe Biden on India-US Bilateral Relation: শুক্রবার বৈঠক শুরুর আগেও বাইডেন টুইটারে লেখেন,,"আজ আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে হোয়াইট হাউসে আলোচনায় বসছি। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার আশা করছি এই বৈঠকে।"

Joe Biden on Bilateral Relation: 'আমি ২০০৬ সালেই বলেছিলাম...', বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে কাছাকাছি আসার বার্তা বাইডেনের
হাসি মুখে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। ছবি:PTI
| Edited By: | Updated on: Sep 25, 2021 | 7:35 AM
Share

ওয়াশিংটন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন(Joe Biden)। শুক্রবার হোয়াইট হাউসে (White House) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)-র সঙ্গে বৈঠকে বসেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানালেন, তিনি বরাবরই বিশ্বাস করে এসেছেন যে ভারত-আমেরিকার মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় হলে অনেক সমস্যারই সহজে সমাধান করা যাবে।

বিশ্ব রাজনীতিতে বরবারই গুরুত্ব পেয়েছে ভারত-আমেরিকার দ্বিপাক্ষিত সম্পর্ক। বিশেষ দুই দেশের কূটনৈতিক অবস্থানের দিক থেকে দেখতে গেলে ভারত -মার্কিন সম্পর্ক (India USA Bilateral Relation) যতটা ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক ততটাই আমেরিকার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর ফোনে আলাপচারিতা হলেও মুখোমুখি সাক্ষাৎ এই প্রথম হল।

আফগানিস্তানের পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে ভারতকে যখন আরও বেশি করে পাশে প্রয়োজন আমেরিকার, সেই সময়েই মার্কিন প্রেসিডেন্টও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করারই বার্তা দিলেন। তিনি বলেন, ”আমি বহুদিন আগে থেকেই বিশ্বাস করে আসছি যে, ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক বিশেষ নানা চ্যালেঞ্জ, প্রতিবন্ধকতার সমাধান করতে পারে। আমি ২০০৬ সালেই বলেছিলাম যে ২০২০ সালের মধ্যে ভারত ও আমেরিকা অত্যন্ত ঘনিষ্ট দুটি দেশে পরিণত হবে।”

তবে কেবল বৈঠক চলাকালীনই নয়, শুক্রবার বৈঠক শুরুর আগেও বাইডেন টুইটারে লেখেন,,”আজ আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে হোয়াইট হাউসে আলোচনায় বসছি। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার আশা করছি এই বৈঠকে। মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে শুরু করে কোভিড এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণ, সমস্ত বিষয় নিয়েই আমাদের মধ্যে আলোচনা হবে।”

মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে উৎসাহী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। বৈঠকের শুরুতেই তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলেন, “আমাকে এবং আমার প্রতিনিধি দলকে এই উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। এর আগেও আমরা আলোচনা করার সুযোগ পেয়েছিলাম এবং সেই সময় আপনি ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও মজবুত করে তোলার কথা বলেছিলেন। আজ, ভারত-মার্কিন সম্পর্ক শক্তিশালী করে তোলার জন্য আপনার দৃষ্টিভঙ্গিই বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”

শুক্রবারের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারত ও আমেরিকার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে তিনি ৫ ‘T’-র কথাও বলেন, এগুলি হল- ঐতিহ্য (Tradition), প্রতিভা (Talent), প্রযুক্তি (Technology), বাণিজ্য ( Trade) এবং বিশ্বাসযোগ্যতা (Trusteeship)। প্রধানমন্ত্রীর মতে এই তিনটি ক্ষেত্রে যদি ভারত ও আমেরিকা সাফল্য লাভ করে, তবে আগামিদিনে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।

প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের আগে বৃহস্পতিবার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্য়ারিসের সঙ্গেও বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকেও তিনি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস(Kamala Harris)-কে সকলের কাছে “অনুপ্রেরণা” বলে অ্যাখ্যা দেন। একইসঙ্গে ভারতে আসার জন্যও আমন্ত্রণ জানান।
ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত ও আমেরিকার মূল্যবোধ অনেকটাই একরকম, রাজনৈতিক স্বার্থও এক। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে সংযোগ ও সম্পর্কও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি আমেরিকায় যেরকম জয়লাভ করেছেন, ভারতীয়রা চান আপনি আমাদের দেশে গিয়েও সেই ধারা বজায় রাখুন। সকল ভারতীয়ই আপনার জন্য অপেক্ষা করছে, সেই কারণে আমি আপনাকে ভারত সফরে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।”