New Coronavirus ‘NeoCOV’ : প্রতি ৩ জনের মধ্যে ১ জনের মৃত্যু! ‘নিওকোভ’ নিয়ে সতর্কবাণী উহানের বিজ্ঞানীদের

NeoCOV: স্পুটনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে, উহানের বিজ্ঞানীরা দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি নতুন ধরণের 'নিওকোভ' সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে। আর সবথেকে ভয়ের যে বিষয়টি, তা হল - এই ভ্যারিয়েন্টটির কারণে মৃত্যু হার এবং সংক্রমণের হার দুটিই বেশি বলে জানানো হয়েছে।

New Coronavirus NeoCOV :  প্রতি ৩ জনের মধ্যে ১ জনের মৃত্যু! নিওকোভ নিয়ে সতর্কবাণী উহানের বিজ্ঞানীদের
নিওকভ ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে চিন্তা বাড়ছে উহানের বিজ্ঞানীদের (প্রতীকী ছবি)

| Edited By: Soumya Saha

Jan 29, 2022 | 10:26 AM

নয়া দিল্লি : ওমিক্রনের (Omicron Variant) আগমনের পর থেকে অনেকেই অনুমান করছেন, এবার হয়ত ওমিক্রনের হাত ধরে করোনার মহামারী (Coronavirus Pandemic) পরিস্থিতির ইতি পড়তে চলেছে। কিন্তু এরই মধ্য়ে আরও একটি তত্ত্ব উঠে আসছে। রাশিয়ান সংবাদ সংস্থা স্পুটনিকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে, এবার ‘নিওকোভ’ (NeoCOV) নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। চিনের উহানে ২০১৯ সালে যে কোভিড -19 ভাইরাসের খোঁজ মিলেছিল, তারই একটি ভ্যারিয়েন্ট হল ‘নিওকোভ’। স্পুটনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে, উহানের বিজ্ঞানীরা দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি নতুন ধরণের ‘নিওকোভ’ সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে। আর সবথেকে ভয়ের যে বিষয়টি, তা হল – এই ভ্যারিয়েন্টটির কারণে মৃত্যু হার এবং সংক্রমণের হার দুটিই বেশি বলে জানানো হয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার ‘নিওকোভ’ ভাইরাস

তবে, স্পুটনিকের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, নিওকোভ ভাইরাসটি নতুন নয়। মার্স-কোভ ভাইরাসের সঙ্গে যুক্ত এই ভাইরাসটির ২০১২ এবং ২০১৫ সালে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছিল। সেই সময়েই এই ভ্যারিয়েন্টের প্রথম হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। উল্লেখ্য, উহানের বিজ্ঞানীদের মতে, এই নিওকোভের চারিত্রিক বৈশিষ্টগুলি অনেকটা সার্স-কোভ-২-এর মতোই। যদিও নিওকোভ ভাইরাসটি দক্ষিণ আফ্রিকার বাদুড়ের মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল এবং শুধুমাত্র এই প্রাণীদের মধ্যেই খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এই সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্র পিয়ার রিভিউয়ের আগে প্রিপ্রিন্ট হিসেবে bioRxiv ওয়েবসাইটে প্রিপ্রিন্ট হিসাবে প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছে, এই নিওকোভ এবং এর সঙ্গে অনেকটাই মিল থাকা পিডিএফ-২১৮০-কোভ মানুষের শরীরেও সংক্রমণ ঘটাতে পারে।

কী বলছেন চিনা গবেষকরা?

উহান বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাইনিজ একাডেমি অফ সায়েন্সেস ইনস্টিটিউট অব বায়োফিজিক্স-এর গবেষকদের মতে, “মানব দেহের কোষে এই ভাইরাসের ঢোকার জন্য শুধুমাত্র একটি মিউটেশনের প্রয়োজন। গবেষণার ফলাফলে দেখা গিয়েছে, এই ভাইরাসটি যথেষ্ট ঝুঁকির কারণ তৈরি হতে পারে। কারণ, এটি করোনা ভাইরাস প্যাথোজেনের চেয়ে আলাদাভাবে এসিই-২ রিসেপ্টরের সঙ্গে আবদ্ধ হতে পারে। এর ফলে, শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি বা প্রোটিন নিওকোভ থেকে সুরক্ষা সেভাবে দিতে পারে না।”

চিনা গবেষকদের মতে, নিও কোভের ক্ষেত্রে মার্স-হাই-কোভের মতো মৃত্যুর হার (প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন মারা যায়)। সেই সঙ্গে বর্তমান সার্স-কোভ-২-এর মতো করোনা ভাইরাসের মতো উচ্চ সংক্রমণ হারের প্রবণতাও রয়েছে। নিওকোভ সম্পর্কে একটি ব্রিফিংয়ের পরে, রাশিয়ান স্টেট ভাইরোলজি এবং বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারের বিশেষজ্ঞরা বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি জারি করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, “ভেক্টর গবেষণা কেন্দ্র নিওকোভ করোনা ভাইরাস সম্পর্কে চিনা গবেষকদের প্রাপ্ত ডেটা সম্পর্কে অবগত। তবে এই ভাইরাসটির সম্ভব্য ঝুঁকিগুলিকে নিয়ে আরও গবেষণা করার প্রয়োজন রয়েছে।

আরও পড়ুন : Budget 2022: জিএসটিতে ছাড় থেকে ঋণের মেয়াদ বৃদ্ধি, বাজেট থেকে কী কী প্রত্যাশা রাখছে রিয়েল এস্টেট শিল্প?