ওয়াশিংটন: একে করোনায় (COVID) রক্ষা নেই হাজির রহস্যময় ছত্রাক। মার্কিন মুলুকের একটি হাসপাতালে হু হু করে ছড়াচ্ছে এই মারণ ছত্রাক। ইতিমধ্যেই ফ্লোরিডার একটি হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডেই আক্রান্ত একাধিক রোগী। মার্কিন প্রশাসনের সমীক্ষা শুক্রবার জানিয়েছে, এই মারণ ছত্রাকের নাম ক্যানডিডা অরিস।
জাপানে ২০০৯ সালে প্রথম শনাক্ত হয়েছিল এই ছত্রাক। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার জন্য মারণ ছত্রাকটিকে কড়া নজরে রেখেছিল সিডিসি। ভয়ানক এই ছত্রাকের মারণ ক্ষমতা প্রবল। আক্রান্ত রোগীরা হাসাপাতালে ভর্তি হলে তাদের প্রায় ৪০ শতাংশের প্রাণ কেড়ে নেয় এই ছত্রাক। মূলত রক্তপ্রবাহে প্রভাব ফেলে এই ছত্রাক। এছাড়া কানে সংক্রমণ ধরা পড়ে। মূত্রেও এই ছত্রাকের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়। তবে এখনও এটা স্পষ্ট নয় যে ছত্রাক ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায় নাকি মূত্রাশয়ে।
করোনা আবহে প্রথম এই ছত্রাকের সংক্রমণ ধরা পড়ে জুলাই মাসে। পরের মাসে ফ্লোরিডার হাসপাতালে মারণ ছত্রাকে আক্রান্ত হন ৩৫ জন। যাদের ২০ জনের তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সেই ২০ জন অরিস ছত্রাকে আক্রান্তদের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৮ জন। তবে এটা এখনও স্পষ্ট নয় যে, ছত্রাকই মৃত্যুর মূল কারণ ছিল।
আরও পড়ুন: বিদায়কালে বিপত্তি, টুইটারে কোনও দিন অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন না ট্রাম্প!
ইতিমধ্যেই ছত্রাক রুখতে কড়া পদক্ষেপ করেছে সিডিসি। তারা জানিয়েছে, মোবাইল, কম্পিউটার ও চিকিৎসার যন্ত্রপাতি সবসময় স্যানিটাইজড হচ্ছে না। এছাড়া পিপিইর ভুল ব্যবহারের ফলেই অরিস ছড়াচ্ছে। বিশ্বের ৩০ টিরও বেশি দেশে অরিসের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। অক্টোবরের ৩১ তারিখ পর্যন্ত এই মারণ ছত্রাকে ১৫০০ জন আমেরিকাবাসী আক্রান্ত হয়েছেন। সিডিসি জানিয়েছে মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে পারে এই ছত্রাক।