বিদায়কালে বিপত্তি, টুইটারে কোনও দিন অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন না ট্রাম্প!
যেভাবে একের পর এক ইতিহাসকে ফিরিয়ে আনছেন ট্রাম্প, সেখানে এই ঘটনায় বিচলিত হচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা।
ওয়াশিংটন: নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকছে ট্রাম্প (Donald Trump) আমলের আমেরিকা। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প থাকতে পারবেন আর ১০ দিন। তার পরেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন জো বাইডেন। কিন্তু হলফ করে বলা যায়, শেষের দিনগুলি ভাল কাটছে না ডোনাল্ড ট্রাম্পের। এবার পাকাপাকি তাঁর অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করে দিল টুইটার। অন্য উপায়ে টুইটারে ফিরে আসতে চাইলেও উপায় নেই। টুইটার সাফ জানিয়েছে, ট্রাম্প যদি নতুন অ্যাকাউন্ট খোলেন তাহলে সেটাও নিষিদ্ধ করবে তারা।
ঘটনার গোড়ায় মার্কিন ক্যাপিটল। নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর একের পর এক নাটকীয় টুইট করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কখনও সেই টুইটগুলিতে ল্যাবেল লাগাতে বাধ্য হয়েছে টুইটার। টুইটে ট্রাম্প বারবার বলে এসেছেন, নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে। ভোট ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁর অনুগামীদের তিনি বারবার ভোটের ফল বদলে দেওয়ার কথা বলেছেন। তবে সবকিছু মাত্রা ছাড়ায় ৬ জানুয়ারি। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প তাঁর অনুগামীদের ক্যাপিটল যাওয়ার কথা বলেন। আর তারপরই ‘হিংস্র’ ট্রাম্প-ভক্তরা চড়াও হয় মার্কিন কংগ্রেসে। লন্ডভন্ড হয় গোটা ক্যাপিটল।
বিরোধীদের অভিযোগ, ট্রাম্পের উস্কানিই এই কর্মকাণ্ডের পিছনে দায়ী। আর যদি তাই হয়, তাহলে এই উস্কানিতে ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্টের গুরুত্ব কম নয়। সঙ্গে সঙ্গে ট্রাম্পের টুইট মুছে দেয় টুইটার। ১২ ঘন্টার জন্য ব্লক হয় ট্রাম্পের টুইটার। ব্লক হয় ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম। তবে টুইটার আনব্লক হওয়ার পরই ফের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
After close review of recent Tweets from the @realDonaldTrump account and the context around them we have permanently suspended the account due to the risk of further incitement of violence.https://t.co/CBpE1I6j8Y
— Twitter Safety (@TwitterSafety) January 8, 2021
তখনই ফের উস্কানি দিতে পারেন এই অভিযোগে, ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে ব্লক করে দেয় টুইটার। ব্লগে টুইটার কর্তৃপক্ষ জানায়, কেউই নীতির ঊর্ধ্বে নয়। তাই নীতি লঙ্ঘনের জন্য ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে এখানেই থামেননি বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প ফের তাঁর নির্বাচনী প্রচারের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে লেখেন, “টুইটার মুক্ত বার্তার জন্য নয়।” অভিযোগ করেন, টুইটার ডেমোক্র্যাটদের সাহায্য করছে। এরপরই তাঁর নির্বাচনী প্রচারের টুইটার অ্যাকাউন্টও নিষিদ্ধ করে টুইটার।
Trump returns, on the @POTUS account, and says he is looking “at the possibilities of building out our own platform in the near future.” pic.twitter.com/AhbICQ82OM
— Josh Wingrove (@josh_wingrove) January 9, 2021
আরও পড়ুন: ফাইজ়ার, কোভিশিল্ডের পর ব্রিটেনে ছাড়পত্র পেল মডার্না
এরপর ট্রাম্প সরকারি অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করলে সেই টুইটও মুছে দেয় টুইটার। টুইটারের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় ট্রাম্প যে টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করবেন, সেই টুইটার অ্যাকাউন্টকেই নিষিদ্ধ করতে পারে তারা। ট্রাম্প আগেই জানিয়েছেন, তিনি বাইডেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকবেন না। এর আগে কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় থাকেননি, এই ঘটনাও বিরল। তবে যেভাবে একের পর এক ইতিহাসকে ফিরিয়ে আনছেন ট্রাম্প, সেখানে এই ঘটনায় বিচলিত হচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা।