AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Hellfire R9X Missile Used to Kill Al-Qaeda Leader : মিসাইল হামলায় খতম আল-কায়দা প্রধান, অথচ নেই বিস্ফোরণের চিহ্ন! কোন রহস্যময় অস্ত্র ব্যবহার আমেরিকার?

Hellfire R9X Missile Used to Kill Al-Qaeda Leader : আল-কায়দা প্রধানকে নিকেশ করা হলেও কোনও বিস্ফোরণের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। অনুমান করা হচ্ছে আমেরিকার তরফে হেলফায়ার R9X মিসাইল ব্যবহার করা হয়েছে।

Hellfire R9X Missile Used to Kill Al-Qaeda Leader : মিসাইল হামলায় খতম আল-কায়দা প্রধান, অথচ নেই বিস্ফোরণের চিহ্ন! কোন রহস্যময় অস্ত্র ব্যবহার আমেরিকার?
লাদেনের সঙ্গে জ়ওয়াহিরি। ছবি: ফাইল চিত্র
| Edited By: | Updated on: Aug 02, 2022 | 2:09 PM
Share

ওয়াশিংটন : মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার মিসাইল হামলায় খতম হয়েছে জঙ্গি সংগঠন আল কায়দা প্রধান আয়মান আল-জ়ওয়াহিরি। কাবুলে তার বাড়িতে দুটি মিসাইল হামলায় তাকে নিকেশ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মার্কিন আধিকারিক জানিয়েছেন, অন্য কারোর ক্ষতি হয়নি। জ়ওয়াহিরিকে নিকেশ করা হলেও এতটুকু আঁচ লাগেনি তার পরিবারের কারোর গায়ে। এর পাশাপাশি ওই বাড়ির চারপাশ যাতে কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করা হয়েছে বাইডেন প্রশাসনের তরফে। দুটি মিসাইল নিক্ষেপ করা হলেও বিস্ফোরণের কোনও চিহ্নমাত্র পাওয়া যায়নি। এর থেকেই ইঙ্গিত মিলেছে যে, এই অভিযানে ম্যাকাব্রে হেলফায়ার R9X মিসাইল ব্যবহার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের মার্চ মাসে আল-কায়দার শীর্ষনেতা আবু আল-খায়ের আল মাসরিকে খতম করতেও এই একই মিসাইল ব্যবহার করা হয়েছিল আমেরিকার তরফে। সেইবার অভিযান চালানো হয়েছিল সিরিয়ায়। তবে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা (CIA) বা পেন্টাগনের তরফে হেলফায়ার মিসাইল ব্যবহারের কথা কোনওদিনই স্বীকার করা হয়নি। ২০১৭ সালের সিরিয়ায় মিসাইল হামলায় দেখা গিয়েছিল, হামলা চালানো গাড়ির ছাদে একটি বড় ছিদ্র মাত্র। গাড়ির সামনের দিক ও পিছনের দিক অক্ষত ছিল। বড় কোনও বিস্ফোরণের চিহ্ন সেই হামলাতেও পাওয়া যায়নি। ২০১৭ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অভিযানে এরকম নিখুঁত হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসবাদীদের দমন করেছে আমেরিকা। চারপাশের কোনও ক্ষতি না করে এত নিখুঁতভাবে নিশানাকে খতম করতে সক্ষম হওয়ার জন্য এই মিসাইলটির ডাকনাম দেওয়া হয়েছে- ‘নিনজা বম্ব’ বা ‘ফ্লাইং জিনসু’।

এখন সাধারণ নাগরিকদের কোনও ক্ষতি না করে চরমপন্থী গোষ্ঠীর নেতাদের নিকেশ করার জন্য আমেরিকার অন্যতম শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে নিজের জায়গা করে নিয়েছে এই মিসাইল। জ়ওয়াহিরি হত্যার ক্ষেত্রেও এই মিসাইল ব্যবহার করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এক আমেরিকার আধিকারিক রিপোর্টারদের জানিয়েছেন, ৩১ জুলাই সকালে কাবুলে নিজের বাড়ির বারান্দায় একা দাঁড়িয়েছিল জ়ওয়াহিরি। সেইসময়ই মার্কিন ড্রোন দুটি হেলফায়ার নিক্ষেপ করে। এই ঘটনার ছবিতে দেখা গিয়েছে সেই ভবনের একটি তলার কাচ ভেঙে পড়েছে। কিন্তু বাকি বাড়ির জানলা অক্ষত রয়েছে। এই অভিযান চলাকালীন সেই নিরাপদ বাড়িতে উপস্থিত ছিল তার স্ত্রী, মেয়েরা। তবে তাদের কোনওরকম ক্ষতি হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।