North Korea: তোপ, বন্দুক নিয়ে সবে নেমেছিল ট্রাম্পের সেনা! পরপর প্রাণঘাতী মিসাইল ছুড়ল কিমের দেশ
North Korea: ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের পর একাধিক বড় বড় পরিবর্তন করে ফেলেছেন তিনি। তবে নাক গলাননি উত্তর কোরিয়ার ব্যক্তিগত পরিসরে। তবু পড়তে হল ফাঁপরে।

সিওল: ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ল উত্তর কোরিয়া। সোমবার যখন সম্মুখ আসরে সামরিক মহড়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকা, সেই সময় উত্তর কোরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের পীতসাগর থেকে ছোঁড়া হল এই ব্যালেস্টিক মিসাইলটি। আর তারপর সরগরম বিশ্ব রাজনীতি। অবশ্য, কোনও ক্ষতি হয়নি বলেই খবর। শূন্যের দিকে ছোঁড়া হয় এই ক্ষেপণাস্ত্র। মূলত, আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়াকে হুঁশিয়ারি দিতেই এই পদক্ষেপ কিম জং উনের, দাবি একাংশের।
সবে মার্কিন মসনদে এসে বসেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের পর একাধিক বড় বড় পরিবর্তন করে ফেলেছেন তিনি। তবে নাক গলাননি উত্তর কোরিয়ার ব্যক্তিগত পরিসরে। তবু পড়তে হল ফাঁপরে। সোমে যখন সামরিক মহড়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছে আমেরিকা। সেই সময়ই তাদের মহড়া ছত্রভঙ্গ করতে আকাশের দিকে তাক করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ল কিম জং উনের সেনা।
এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার এক সেনাকর্তা জানান, ‘আমাদের সেনাবাহিনী দুপুর ১টা ৫০ নাগাদ (দক্ষিণ কোরিয়ার সময় অনুযায়ী) পশ্চিম সাগরের আকাশে একাধিক ব্যালেস্টিক মিসাইলের হদিশ পায়। উত্তর কোরিয়া তরফেই সেই মিসাইলগুলি ছোঁড়া হয়েছে বলেই ধারণা।’
দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকার এই যৌথ সামরিক মহড়া নিয়ে দিন কয়েক আগেই মুখ খুলেছিলেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। এই মহড়াকে ‘উস্কানিমূলক’ তকমা দেন তিনি। তারপর দিন পেরতেই চলল এই ব্যালেস্টিক হুঁশিয়ারি।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছিল গোটা বিশ্ব। মুখোমুখি হয়েছিলেন ট্রাম্প ও কিম। তখন মার্কিন মসনদের দায়ভার ছিল এই রিপাবলিকান নেতার হাতেই। কিমের প্রতি শান্তিচুক্তি নিয়ে তাঁর কাছে দ্বারস্থ হয়েছিলেন ট্রাম্প। সিঙ্গাপুরে চলেছিল বৈঠক। কথায় কথায় ক্ষেপণাস্ত্র বের করা ও পরমাণু হুমকিকেই বন্ধ করার আর্জি নিয়ে কিমের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু দফায় দফায় বৈঠক চললেও দিনশেষে কোনও লাভ হয়নি বলেই আমেরিকায় এসে জানিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।





