প্যাংগং: উত্তর কোরিয়ার শাসন ব্যবস্থা বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির তুলনায় খানিকটা আলাদা। দেশের স্বৈরাচারী শাসক কিম জং উনের (Kim Jong Un) শাসনে নাগরিকদের কোনও মৌলিক অধিকার তো নেই, বরং ‘পান থেকে চুন খসলে’ পেতে হয় কঠোর শাস্তি। নিজেদের খামখেয়ালি মনোভাবের জন্য কিম যেমন বিশ্বে সমালোচিত তেমনই অনেকের কাছে তিনি হাসির খোরাকও বটে। উত্তর কোরিয়ার আজব নিয়মকানন সবসময়ই আলোচনার শিরোনামে থেকেছে। যেমন ২০২১ সালে দেশের প্রাক্তন শাসক কিম জং ইলের মৃত্যুর কারণে ১১ দিন নাগরিকদের হাসি, মদ্যপান, মুদিখানার দোকান থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কিম প্রশাসন। বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছিল, প্রয়াত প্রাক্তন নেতার মৃত্যুর পর ১১ দিন দেশের জনসাধারণখে আনন্দের কোনও চিহ্ন দেখাতে নিষেধ করেছিল সেদেশের সরকার।
এই উদ্ভট দেশের আরও এক খবর সামনে এসেছে যা শোনার পর রীতিমতো চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। জানা গিয়েছে, একদল মালিকে সশ্রম কারাদণ্ডে পাঠিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার প্রশাসক কিম জং উন। বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, কিমের বাবা জং ইলের জন্মদিনে একটি বিশেষ ফুল না ফোটার কারণেই মালিদের শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে। ওই বিশেষ ফুলের নাম কিমজংলিয়া। কিম ভেবেছিলেন জন্মদিনের দিন ওই বিশেষ ফুল দিয়ে তিনি বাবার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করবেন। সেই মতো ওই মালিদের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা ওই ফোটাতে ব্যর্থ হয়েছে বলেই অগ্নিশর্মা কিম মালিদের শাস্তির নিদান দিয়েছে।
কিমজংলিয়া বেগোনিয়ায় শুধুমাত্র উত্তর কোরিয়াতেই ফোটে এবং স্থানীয়ভাবে এটি ‘অমর ফুল’ নামেই পরিচিত। কিমের বাবা জং ইলের নাম অনুসারে এই ফুলের নামকরণ করা হয়েছিল। ১৬ ফেব্রুয়ারি কিমের বাবা তথা দেশের প্রাক্তন শাসকের ছবি এই ফুল দিয়ে সাজানোর কথা ছিল। বিশেষ প্রজাতির এই ফুলের জন্য উপযুক্ত আবহাওয়ার প্রয়োজন। গ্রিন হাউসে সেই উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে এই ফুল চাষ করা হয় উত্তর কোরিয়ায়। ফুল না ফোটাতে পারার কারণে হ্যান নামের গ্রিন হাউজের ম্যানেজার এবং বাকি মালিদের ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতমাসেই হ্যানকে এই ফুল ফোটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলেই জানা গিয়েছে।