North Korea: আবারও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কিমের!

North Korea, South Korea, Ballistic missile, হঠাৎ করেই উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের (Kim Jong Un) বোন কিম ইয়ো জং খানিকটা নমনীয় স্বরে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা করার কথা জানিয়েছিলেন। শর্ত ছিল প্রতিবেশীদের আলোচনায় আমেরিকার কোনও ভূমিকার থাকবে না।

North Korea: আবারও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কিমের!
ছবি ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 19, 2021 | 7:17 PM

সিওল: উত্তর কোরিয়া বনাম দক্ষিণ কোরিয়া, প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে লড়াই যেন থামতেই চাইছে না। মঙ্গলবার, উত্তর কোরিয়া (North Korea) সমুদ্রে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (Ballestic Missile) উৎক্ষেপণ করেছে, এমনটাই দাবি দক্ষিণ কোরিয়ার সেনা বাহিনীর। এই নিয়ে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) জয়েন্ট চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সিনপো (Sinpo) থেকে উপদ্বীপের পূর্ব সমুদ্র লক্ষ্য করে “অজানা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র” নিক্ষেপ করা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া এবং মার্কিন গোয়েন্দারা এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে। সিনপো, যেখানে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়েছে, সেটি একটি নৌবাহিনীর জাহাজ মেরামতের একটি প্রধান স্থান। এর আগে পাওয়া উপগ্রহ চিত্রে সিনপোতে সাবমেরিনের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গিয়েছিল।

বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, উত্তর কোরিয়া একটি সাবমেরিন নিক্ষেপিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (Ballistic Missile) তৈরি করছে  এবং এর আগে একটি সমুদ্রের জলের তলায় এটির উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। কোরিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজির (Korea Research Institute for National Strategy) গবেষক শিন বিওম চুল জানিয়েছেন “উত্তর কোরিয়ার, সাবমেরিন নিক্ষেপিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার করার সম্ভাবনাই প্রবল।” নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের এই ঘটনায় দুই দেশের পারস্পরিক দূরত্ব আরও বাড়াবেই বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।

কয়েকদিন আগে দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোরিয়ান যুদ্ধ শেষ করার কথা বলা হলেও তা মানতে নারাজ ছিল উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার দেওয়া এই প্রস্তাবকে ‘শিশুসুলভ মন্তব্য’ বলে কটাক্ষ করা হয়েছিল উত্তর কোরিয়ার তরফে।

তারপর হঠাৎ করেই উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের (Kim Jong Un) বোন কিম ইয়ো জং খানিকটা নমনীয় স্বরে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা করার কথা জানিয়েছিলেন। শর্ত ছিল প্রতিবেশীদের আলোচনায় আমেরিকার কোনও ভূমিকার থাকবে না। তিনি বলেছিলেন “দুই কোরিয়ার মধ্যে পারস্পরিক সম্মান বজায় থাকলে আলোচনা হতেই পারে। আমার মনে হয় নিরপেক্ষতা ভিত্তিতে যখন দুই দেশের মধ্যে পারস্পারিক সম্মান অটুট থাকবে তখন উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বোঝাপড়ার পথ মসৃন হতে পারে। গঠনমূলক আলেচনার মাধ্যমে সংহতিপূর্ণ পরিবেশে যাবতীয় সমস্যার সফল সমাধান সম্ভব এবং এই আলোচনার মাধ্যমে চলে আসা যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাধান হতে পারে।” তিনি এমটাও জানিয়েছিলেন যে প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে চলে আসা অচলবস্থা দ্রুত কেটে যাক, এমনটাই চান দুই দেশের সাধারণ জনগণ।

উল্লেখ্য, ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সাল অবধি চলা কোরিয়ান যুদ্ধ কোনও শান্তি চুক্তির দ্বারা শেষে হয়নি। আমেরিকার নেতৃত্বে রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nations) বাহিনী গুলির সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সামরিক সমস্যা এখনও চলছে। উত্তর কোরিয়ার তরফ থেকে বারবার পারমাণবিক অস্ত্রের (Nuclear Weapon) পরীক্ষা নিরীক্ষার ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধে ইতি টানার প্রক্রিয়া বারবার ব্যাহত হয়েছে।

আরও পড়ুন Duare Ration : ‘দুয়ারে নয়, দোকানে রেশন’, অসন্তোষ আরও বাড়ছে ডিলারদের মধ্যে