AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Duare Ration : ‘দুয়ারে নয়, দোকানে রেশন’, অসন্তোষ আরও বাড়ছে ডিলারদের মধ্যে

Ration Dealers of West Bengal: আজ আরও একবার প্রতিবাদে সরব রেশন ডিলাররা। তাঁদের বক্তব্য, দুয়ারে নয়... দোকানে রেশন। এই দাবি নিয়েই রেশন ডিলারদের গণ কনভেনশন।

Duare Ration : 'দুয়ারে নয়, দোকানে রেশন', অসন্তোষ আরও বাড়ছে ডিলারদের মধ্যে
দুয়ারে রেশন নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছে ডিলারদের একাংশে (প্রতীকী ছবি)
| Edited By: | Updated on: Oct 19, 2021 | 5:17 PM
Share

কলকাতা : মুখ্যমন্ত্রী ঘটা করে ঘোষণা করেছিলেন দুয়ারে রেশন। তড়িঘড়ি সেই প্রকল্প চালুও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রকল্প চালু করার আগে সেই পরিকাঠামো রয়েছে কিনা, তা কিছুই যাচাই করে দেখা হয়নি। আর ফলে, যা হওয়ার তাই হচ্ছে। ডিলারদের একাংশ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। বার বার অভিযোগ করছেন ডিলাররা। রাজ্য সরকারের এই দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু রাখতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের। আর তাই আজ আরও একবার প্রতিবাদে সরব তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, দুয়ারে নয়… দোকানে রেশন। এই দাবি নিয়েই রেশন ডিলারদের গণ কনভেনশন।

জয়েন্ট ফোরাম ফর ওয়েস্ট বেঙ্গলে রেশন ডিলার্সের তরফে আজ নিউটাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে এক গণ কনভেনশনের আয়োজন করা হয়। এখানে তাঁরা আজ আরও একবার নিজেদের দাবির পক্ষে জোরালো সওয়াল তোলেন, “দুয়ারে নয়, দোকানে রেশন”।

এই অনুষ্ঠানে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানান, বাংলার রেশন ডিলাররা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মত খাদ্য সাথী পরিচালনা করে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো কোভিড আবহে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘ দু-বছর যাবৎ রেশন বিলি করে এসেছে। কিন্তু এখন যে বিষয়টি তাঁদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাতে কার্যত হিমশিম খাওয়ার অবস্থা বলেই মনে করছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন দেওয়া অর্থাৎ দুয়ারে রেশন দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই মুখ্যমন্ত্রীর, খাদ্যমন্ত্রীর কাছেও আবেদন রেখেছি আমাদেরকে এই ভাবে চাপ সৃষ্টি করে দুয়ারে রেশনে ঠেলে দেওয়া যাবে না। তাই আমরা আজকে এই দুয়ারে নয় দোকানে রেশনের সিদ্ধান্তকে কার্যকর করার জন্য কনভেনশনের আহ্বান করেছি।”

তিনি আরও জানান, নবমীর দিন খাদ্যমন্ত্রী সহ বিভিন্ন স্তরে আমরা জানিয়েছি এটা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তারপরেও বিভিন্ন জায়গায় আমাদের উপর প্রশাসনিক চাপ, অত্যাচার করে আমাদের নামানো হয়েছে অনেক জায়গায়। সেটা এক-দু’দিন সম্ভব, বারবার সম্ভব নয়। তাই রাজ্য সরকার ও খাদ্য দফতরকে অনুরোধ করছি, বাস্তবতার উপর দাঁড়িয়ে দোকানে রেশন দেওয়ার যে ব্যবস্থা সারা দেশে বলবৎ রয়েছে, সেই ব্যবস্থাকেই কার্যকর রাখতে এবং সেই ব্যবস্থা ধারাবাহিকভাবে পরিচালনা করতে আমাদের সুযোগ দিতে।”

রেশন ডিলারদের তরফে আরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, জোর করে যদি তাঁদের দুয়ারে রেশন পাঠাতে বাধ্য করা হয়, তাহলে তাঁরা তা পারবেন না। যদি এমন হয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা এই পরিষেবা থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হবেন বলে জানিয়েছেন।

এর আগে বিশ্বম্ভর বসু সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছিলেন, দুয়ারে দুয়ারে রেশন পৌঁছে দিতে যা টাকা লাগবে তা রাজ্য দিতে পারছে না। আর পুজোর মরসুমে কাঁধে করে বয়ে মাল সরবরাহ-ও সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছিলেন বিশ্বম্ভর বসু। তাঁর মন্তব্য, “দুয়ারে রেশন’ সম্ভব নয়। কোনওভাবেই সম্ভব নয়।”

আরও পড়ুন : Duare Ration: ‘পুজোর সময় কাঁধে করে মাল বইবে কে?’ দুয়ারে রেশন প্রকল্পে ‘না’ রেশন ডিলার সংগঠনের