চট্টগ্রাম বন্দরে রহস্যজনক কন্টেনার, একটা লেখাই বলে দিচ্ছে গোপনে আঁটা ভয়ঙ্কর ফন্দি!

Bangladesh: গত ২১ ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছয় ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’ নামের একটি জাহাজ। সেই জাহাজ থেকে আনলোড হওয়া কন্টেনারগুলি পরীক্ষা করার সময় বিস্ফোরক দ্রব্যের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। 

চট্টগ্রাম বন্দরে রহস্যজনক কন্টেনার, একটা লেখাই বলে দিচ্ছে গোপনে আঁটা ভয়ঙ্কর ফন্দি!
এই বিস্ফোরকই ছড়িয়ে পড়ছে বাংলাদেশে।Image Credit source: X
Follow Us:
| Updated on: Dec 29, 2024 | 6:27 AM

ঢাকা: নামেই চলছে দেশ সংস্কার। তলে তলে কি অন্য ফন্দি আঁটছে বাংলাদেশ? সামনে এল ভয়ঙ্কর এক তথ্য, যা জানলে চোখ কপালে উঠবে। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করে এক বিদেশি জাহাজ। সেই জাহাজ থেকে নামানো হয় বহু কন্টেনার, যার মধ্যে লেখা এক্সপ্লোসিভ। এই বিস্ফোরক সেনা বা পুলিশের হাতে যায়নি। তবে কার হাতে গেল? এই বিস্ফোরক দিয়ে কী করা হবে?

সূত্রের খবর, গত ২১ ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছয় ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’ নামের একটি জাহাজ। পাকিস্তানের করাচি থেকে জাহাজটি আসে। সেই জাহাজ থেকে আনলোড হওয়া কন্টেনারগুলি পরীক্ষা করার সময় বিস্ফোরক দ্রব্যের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।  জানা গিয়েছে, কন্টেনারগুলোতে পাওয়া গিয়েছে কম্বোডিয়ান একটি প্রতিষ্ঠানে তৈরি ‘সিসমিক ইমালশন এক্সপ্লোসিভ’, যা উচ্চমাত্রার বিস্ফোরক হিসেবে পরিচিত। এগুলি বড় বড় বিল্ডিং উড়িয়ে দিতে পারে এক নিমেষে।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে কাস্টমস ও নৌবাহিনী কর্মকর্তারা কন্টেনারগুলোর পরীক্ষা করেন। বিস্ফোরক দ্রব্যের সন্ধান পাওয়ার পরই পণ্য ডেলিভারি স্থগিতের নির্দেশ দেওয়া হলেও, এক ঘণ্টার মধ্যেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সেই পণ্য খালাসের আদেশ দেওয়া হয়। কী কারণে এই সন্দেহজনক কন্টেনার ছেড়ে দেওয়া হল, তার উত্তর নেই কারোর কাছে।

সূত্রের খবর, বিস্ফোরক দ্রব্যের একটি অংশ ইতিমধ্যে সিলেট এবং অন্যটি কেরাণীগঞ্জে চলে গিয়েছে। তবে এটি সেনাবাহিনী বা কোনও আইনশৃঙ্খলা বা নিরাপত্তা সংস্থার জন্য ছিল না, এ বিষয়ে নিশ্চিত গোয়েন্দারা। পাকিস্তানের  জাহাজে আসা এই বিস্ফোরক নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে আওয়ামি লীগও।