Weather Update: সপ্তাহান্তে আসতে পারে স্বস্তির শীত, হিমেল ছোঁয়া শহর জুড়ে
Kolkata: আলিপুর আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে যে নিম্নচাপটি ছিল সেটি উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে বিহারের উপর অবস্থান করছে
কলকাতা: দুর্যোগ মিটলেই দোরগোড়ায় হিমেল ছোঁয়া। আসতে পারে স্বস্তির শীত (Winter)। অক্টোবরেই শীতের শুরু হতে পারে বলে পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। দুর্যোগ শেষেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে রাতের বেলা কমবে তাপমাত্রা। শীতের (Winter) আমেজ অনুভব করবেন নগরবাসী।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, সপ্তাহান্তেই দুর্যোগ মিটবে। তারপরেই রাতের দিকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমতে পারে। হালকা ঠাণ্ডা বাতাস বইবার সম্ভাবনাও রয়েছে। আগামী ২২ অক্টোবর, শুক্রবার থেকেই ধীরে ধীরে অনুভূত হবে শীত এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে যে নিম্নচাপটি ছিল সেটি উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে বিহারের উপর অবস্থান করছে। যার জেরে আগামী ২৪ ঘণ্টা কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টিপাত চলবে। উপকূলের কাছাকাছি যে জেলাগুলি বিশেষ করে দুই ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর ও হাওড়ায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি থাকবে।
মোটামুটিভাবে, বৃহস্পতিবার থেকেই আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করবে। উপকূলের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাত জারি থাকবে। দক্ষিণবঙ্গ স্থিতিশীল হলেও উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে ৪৮ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টিপাত চলবে। উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলা, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হবে। এছাড়া মালদা ও দুই দিনাজপুরেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হবে।
মঙ্গলবার কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের বেশ কিছু জায়গায়। কমলা সতর্কতার অর্থ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস। অন্যদিকে হলুদ সতর্কতা রয়েছে মালদহ, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। হলুদ সতর্কতা মানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।
হাওয়া অফিস মনে করছে, বুধবারের পর থেকে নিম্নচাপের প্রভাব কমতে শুরু করবে। ফলে টানা বৃষ্টি থেকে মুক্তি মিলতে পারে। তবে কোনও ভাবেই পুরোপুরি দুর্যোগ কেটে রোদ ঝলমলে আকাশ দেখা যাবে, এমন পূর্বাভাস এখনও হাওয়া অফিসের তরফে দেওয়া হয়নি। বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি চলবেই।
একের পর এক নিম্নচাপে বিধ্বস্ত বাংলা। বাংলার উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপ এই মুহূর্তে ওড়িশা লাগোয়া বাংলার উপর রয়েছে। ফলে দখিনা পূবালি বাতাস প্রবল গতিতে এ রাজ্যের ভিতর ঢুকে পড়েছে। অর্থাৎ ঝাঁপিয়ে বৃষ্টির জন্য যা যা দরকার, সবরকম ইন্ধন নিয়ে এই মুহূর্তে বাংলা তৈরি। উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা, লাগোয়া রাজ্য ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডেও ভারী বৃষ্টি হবে।
এ ছাড়া কেরল ও তামিলনাড়ুতে একটি নিম্নচাপ ছিল আরব সাগরের পাশে। সেই নিম্নচাপের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। অপর একটি নিম্নচাপ অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূল হয়ে ঢুকেছিল। যা এখন অবস্থান করছে মধ্য প্রদেশের উপর। তার জন্যই রবিবার থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়।
মধ্য প্রদেশের নিম্নচাপ আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প টানছে। বাংলার যে নিম্নচাপ সেও জলীয় বাষ্প টানছে। একই সঙ্গে ভূমধ্যসাগর থেকে আসছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। এর ফলেই প্রবল বৃষ্টিপাত বিভিন্ন জায়গায়। অল্প সময়েই বেশি বৃষ্টিপাতের একটা প্রবণতা বাড়ছে। দেশের পূর্ব প্রান্ত, উত্তর পশ্চিম প্রান্ত এবং দক্ষিণ প্রান্তে বার বার বিপর্যয় ঘটছে।
আরও পড়ুন: Bengal Flood: বৃষ্টিতে পচে গিয়েছে জমি, ঘর ভরেছে জলে, ‘লক্ষ্মীলাভের’ আশা ছেড়েছেন চাষিরা!