
ঢাকা: তিনি বাংলাদেশ চ্যুত। গণ অভ্যুত্থানের জেরে আপাতত দেশছাড়া। তারপরেও ভোলেননি বাংলাদেশের কথা। পদ্মাপাড়ের দেশের পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের কর্মীদের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যম এখন একটাই। তা হল, হাসিনার অডিয়ো বার্তা। শনিবারও সেই অডিয়ো বার্তার মাধ্যমে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
হাসিনার কথায়, ‘মুহাম্মদ ইউনূসের আসল রূপ সবাই দেখে ফেলেছেন। যারা ভেবেছিলেন, ইউনূস আসলে দেশে শান্তি ফিরবে, অর্থের স্রোত বয়ে যাবে, বিদেশি বিনিয়োগ হবে। কিন্তু তাঁর আসল চেহারাটা এখন শুধু বাংলাদেশেই নয়, গোটা বিশ্বের কাছে উন্মোচিত। সে একটা সন্ত্রাসী। তিনি অবৈধ ভাবে ক্ষমতার দখল নিয়েছেন।’
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নানা মামলায় ফাঁসিয়েছে ইউনূস সরকার। শনির অডিয়ো বার্তা এই অভিযোগ করেছেন হাসিনা। তাঁর অভিযোগ, ‘ক্ষমতায় এসে ইউনূস আগেই তাঁর বিরুদ্ধে চলা আর্থিক কেলেঙ্কারি, দুর্নীতি-সহ একাধিক মামলা থেকে নাম প্রত্যাহার করিয়ে নিয়েছেন।’ আর এক দিকে যখন চলেছে নাম প্রত্যাহার। সেই ফাঁকেই ব্যাঙের ছাতার মতো নিজের আরও ব্যবসা প্রধান উপদেষ্টা গজিয়ে তুলেছেন বলেও দাবি হাসিনার।
গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশছাড়া শেখ হাসিনা। ছাত্র আন্দোলনের মুখে পড়ে ভেঙে যায় তাঁর সরকার। তৈরি হয় নতুন অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পান মুহাম্মদ ইউনূস। তারপরেই হাসিনার বিরুদ্ধে আদালতে রুজু হয় মামলা। পূর্বতন প্রধানমন্ত্রীকে দেশে ফেরাতে নানা পদক্ষেপ নেয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। নয়াদিল্লিকেও একাধিক বার হাসিনাকে ‘তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার’ বার্তা দেয় বাংলাদেশ। বর্তমানে এই পড়শি দেশেরই আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী মামলা রুজু করেছে প্রশাসন। শুরু হয়েছে শুনানিও।