ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) সময়টা মোটেই ভাল যাচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা তাঁর প্রধানমন্ত্রীর গদি যাওয়া সময়ের অপেক্ষা। বরাত জোর অতিরিক্ত দু’দিন তিনি এই পদে থেকে গেলেন। তবে কুর্সি বাঁচাতে মরিয়া ইমরান চেষ্টা কোনও খামতি রাখছেন না। সবরকমভাবে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে থেকে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। ইমরানের বিরুদ্ধে সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এক জোট হয়েছে, শুধু তাই নয় তাঁর জোটসঙ্গী দলের নেতারাও তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ছেঁটে ফেলতে মরিয়া। এমনকী মনে করা হচ্ছে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনাসাফের সদস্যরাও ইমরানের বিরুদ্ধে ভোট করতে পারেন। এই চরম দুঃসময়ে মারাত্মক অভিযোগে বিদ্ধ হলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। এবার শুধু তিনি একা, নয় তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধেও মারাত্মক অভিযোগ তুলেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মেয়ে তথা মুসলিম লিগ নওয়াজের সহ সভাপতি মরিয়ম নওয়াজ।
শনিবার দেশের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াদ শরিফ কন্যা অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন, ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি ঘুষ হিসেবে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন। সব মিলিয়ে তাদের নেওয়া ঘুষের অঙ্ক প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। দলীয় এক সমাবেশে এই কথাই জানিয়েছেন মরিয়ম। তিনি বলেন, “বুশরা বিবির বন্ধু ফারহার মাধ্যমে ইমরান খানে বাড়ি বানিগালাতে সরাসরি ৬০০ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। একবার তেহরিক ই ইনসাফ সরকার দেশের ক্ষমতা থেকে চলে গেলে এরম আরও দুর্নীতির ঘটনা প্রকাশিত হবে।” জানা গিয়েছে, এপ্রিল মাসের ৩ অথবা ৪ তারিখে পাকিস্তান জাতীয় সংসদে অনাস্থা ভোট হবে।
পাকিস্তানের ক্ষমতা ইমরানের হাত ছাড়া হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। শুক্রবারই সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়ত। কিন্তু সংসদের স্পিকার আসাদ কাসের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা খায়াল জ়ামানের মৃত্যুর কারণে অনাস্থা প্রস্তাব পেশের আগেই স্থগিত করে দিয়েছিলেন। জানা গিয়েছিল, সোমবার অধিবেশন বসলে আবার এই প্রস্তাব পেশ করা হতে পারে। বিরোধীরাও ইমরানের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছেন। মনে করা হচ্ছে এর পিছনে পাক সেনা বাহিনীর মদত রয়েছে। এক সময় এই পাকিস্তান সেনাই ইমরানকে ক্ষমতায় শীর্ষে বসিয়েছিল, তবে তারাই এখন প্রাক্তন ক্যাপ্টেনের বিরাগভাজন হয়েছে।